মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশ, ভারতসহ কয়েকটি দেশকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ইতিবাচক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ায় তিনি এসব দেশকে ধন্যবাদ জানান। খবর আল-জাজিরার। আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে মিয়ানমারে। ১৯৪৮ সালের এদিনে দেশটি ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের ভাষণ প্রচার করা হয়।
ভাষণে মিন অং হ্লাইং তার দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য কিছু দেশের সমালোচনা করেন। বিপরীতে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ায় ধন্যবাদ দেন চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস ও বাংলাদেশকে। জান্তাপ্রধান বলেন, ‘আমি কিছু দেশ এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। নানা সমালোচনা, চাপ, হামলার মধ্যেও এসব দেশ ও সংগঠন আমাদের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে।’
বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেও রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কিছু বলেননি মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গাকে স্বভূমিতে ফেরাতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। পরে চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি হয়েছিল। তবে এই সংকটের চার বছরেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। উল্টো রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ভাষান্তর: প্রথম আলো