স্পোর্টস ডেস্ক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে যাত্রাটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৮ রানে হেরেছে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করে ১৪০ রান তোলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। জবাব দিতে নেমে দুই দফা বৃষ্টির পর ম্যাচ আর মাঠে গড়ায়নি। ম্যাচের ফল ঘোষণার আগে রান তাড়ায় ১১ ওভার ২ বলে ১০০ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। তাতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ দেখে এই ২৮ রানের হার।
১৪০ রানের জবাব দিতে নেমে ৬ ওভার ২ বলেই ৬৪ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। তবে এরপরই বাধ সাধে বেরসিক বৃষ্টি। কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয় ম্যাচ। বিরতির পরই ২ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ৬৫ রানের মাথায় দলীয় সপ্তম ও রিশাদের করা প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে বোল্ড হন ৩১ রান করা হেড। নিজের করা দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেও উইকেট পান রিশাদ। এবার শিকার অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
এরপর দারুণ খেলতে থাকেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও চারে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ফিফটি তুলে নেন ওয়ার্নার। তবে ১১ ওভার ২ বল পর আবারও হানা দেয় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ আর মাঠে গড়ায়নি। জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এটি নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ ম্যাচের সবগুলোতেই হারল বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগায় সুপার এইটের এই ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। এদিন একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। জাকের আলির পরিবর্তে সুযোগ দেওয়া হয়েছে স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসানকে।
ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। নেপালের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে কোনো রান যোগ করার আগেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। একই চিত্র অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কোনো রান করার আগেই মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন শান্ত। যদিও লিটনের ইনিংস ছিল বেশ ধীর। রানের চাপে পড়েই অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে বোল্ট হন এই ওপেনার (২৫ বলে ১৬)।
লিটনের আউটের পর এদিন রিশাদকে চারে নামায় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারে এর আগে সাতের ওপরে ব্যাটিং করেননি রিশাদ। তবে তাকে নিয়ে জুয়া কাজে লাগেনি। ২ রান করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান করে বাংলাদেশ। শুরুটা দারুণ করলেও শান্তর ইনিংস আস্তে আস্তে ধীরগতির হয়ে আসে। ব্যাটিংয়ে যখন ধার বাড়াতে যাবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, তখনই ফিরলেন সেই জাম্পার বলে। ৩৬ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশ কোনঠাসা অবস্থায় থাকলেও একপ্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করেছেন তাওহিদ হৃদয়। শান্তর বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কিংবা শেখ মেহেদী হাসানরা কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। প্যাট কামিন্সকে হ্যাটট্রিক উপহার দিয়ে ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হন তিনি। বিদায়ে আগে ২৮ বলে সমান ২টি চার ও ছক্কায় করেন ৪০ রান। এছাড়া শেষদিকে ৭ বলে ১৩ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন তাসকিন আহমেদ। তাতে ১৪০ রানের লড়াকু পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।