আজ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আবহাওয়া পূর্বাভাস

দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বান্দরবানে, কমেছে অন্যান্য জেলায়


চাটগাঁর সংবাদ ডেস্কঃ দেশের সর্বোচ্চ ২৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। জেলার বেশির ভাগ এলাকা টানা দুদিন ধরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পাহাড় ধসের কারণে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় একপ্রকার বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে এই পার্বত্য জেলা। এছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ায় সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বান্দরবানে গত ২৪ ঘন্টায় বান্দরবানে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টার চেয়ে বৃষ্টিপাত একটু কমেছে। সোমবার (৭ আগস্ট) আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিলো, এর আগের ২৪ ঘন্টায় এই জেলায় ২৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিলো।

চট্টগ্রাম বিভাগে বান্দরবানের পর বেশি বৃষ্টিপাত ১৪৮ মিলিমিটার রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায়। টানা ভারী বর্ষণে টেকনাফ উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আগের দিনে আবহাওয়া বার্তায় কক্সবাজারের বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছিলো ৪৬ মিলিমিটার। তবে গত ২৪ ঘন্টায় ওই জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে। রেকর্ড করা হয়েছে ১৬৭ মিলিমিটার।

গতকাল সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড ছিলো চট্টগ্রাম জেলায়। এদিন ৩২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিলো। তবে গত ২৪ ঘন্টায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে এই জেলায়।

গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি কমেছে চট্টগ্রামের অন্যান্য স্থানেও। কুতুবদিয়ায় ৯৮, কুমিল্লায় ৮৩, ও সীতাকুণ্ডে ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

বৃষ্টি কম হওয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো চাঁদপুরে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি ছিলো কুতুবদিয়ায়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, চট্টগ্রাম বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা, মাঝারী ও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাবর্ত্য অঞ্চলগুলোতে পাহাড় ধসের শংকা রয়েছে বলে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।

সংস্থাটির দেয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, উপকূলীয় এলাকা এবং বন্দর সমূহের ওপর ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এ আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ রাখা হয়েছে। এজন্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর