প্রধানমন্ত্রীর ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির কারণে আমাদের দিকে অনেকে নজর দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বৈরী সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ভারসাম্য রক্ষা করা ‘চ্যালেঞ্জিং থিং’। এ সব কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। শুরুতে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ শোনানো হয়।
সভা শেষে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যাত্রা বিরতিসহ সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিদেশী প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে আসছেন, এই সফরগুলোর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গুরুত্ব পাচ্ছি। চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দরাও বাংলাদেশে এসেছেন। আরো অনেকেই আসছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির কারণে আমাদের দিকে অনেকে নজর দিচ্ছে। এখানে অনেক সুবিধা, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, কেউ এগুলো হাতছাড়া করতে চায় না। সেজন্য আসছেন। আর আমরাও চাই মোর এনগেজমেন্ট। আপনারা জানেন মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি এই মুহূর্তে সফরে আছেন। আরো আসবেন। তাদের সাথেও আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো।’
তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা