অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী তানিয়া প্লিবারসেক আজ মঙ্গলবার বলেছেন, উদ্ভিদ ও প্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য অন্তত ৩০ শতাংশ ভূমি আলাদা রাখা হবে। খবর রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ায় এমন কিছু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে যা পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। দেশটিতে ক্রমেই বিপন্ন হয়ে উঠা এসব প্রজাতি রক্ষায় নতুন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
গত জুলাইয়ে প্রকাশিত এক পঞ্চ-বার্ষিক পরিবেশ রিপোর্টে দেখা যায়, অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় অনেক বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ধনী দেশগুলোর মধ্যে প্রজাতির হ্রাসের হারও এখানে বেশি।
এর আগের পরিবেশ প্রতিবেদন প্রকাশ হয় ২০১৬ সালে। তখনকার তুলনায় এখন বিপন্নের তালিকায় নতুন যুক্ত বা উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে এমন প্রজাতি গড়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্লিবারসেক এক বিবৃতিতে বলেন, দেশটির উদ্ভিদ-প্রাণী ও বাস্তুতন্ত্রকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এত বেশি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা আগে কখনো ছিল না।
১১০টি প্রজাতি ও ২০টি স্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংরক্ষণের এলাকা ৫ কোটি হেক্টর বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান তিনি। ১০ বছরের এই পরিকল্পনা ২০২৭ সালে পর্যালোচনা করা হবে।
সম্প্রতি নির্বাচিত ফেডারেল সরকার হুমকির মুখে থাকা স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণীদের রক্ষায় ১৪ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
স্থলভাগের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। আর দ্বীপ দেশ হিসেবে সবচেয়ে বড়। এখানে রয়েছে কোয়ালা ও প্লাটিপাসের মতো অনন্য প্রাণীর আবাসস্থল। কিন্তু চরম আবহাওয়া ও মানুষের আধিপত্যের কারণে এ প্রাণীগুলোর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
গত চার বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ কোয়ালা হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশেষজ্ঞদের এই মতামতের পর দেশটির পূর্ব উপকূলে গত ফেব্রুয়ারিতে কোয়ালাকে বিপন্ন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।