স্পোর্টস ডেস্ক
শুরুতে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা বিপদে পড়েছিল বটে। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্কোস স্টয়নিস দ্রুতই টেনে তোলেন দলকে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি ওমানের ব্যাটাররা। মার্কোস স্টয়নিস বল হাতেও ছিলেন সফল।
বৃহস্পতিবার ব্রিজটাউনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ওমানকে ৩৯ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে অজিরা। ওই রান তাড়া করতে নেমে পুরো ২০ ওভার খেললেও ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি ওমান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ৫০ রানে তারা হারিয়ে ফেলেছিল তিন উইকেট। শুরুটা হয় ট্রাভিস হেডকে দিয়ে। বিলাল খানের বলে মিড অফে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১০ বলে ১২ রান করেন তিনি।
বাকি দুটি উইকেট নেন আগের ম্যাচে ওমানের নায়ক মেহরান খান। ২১ বলে ১৪ রান করে অধিনায়ক মিচেল মার্শ লং অনে ক্যাচ দেন শোয়াইব খানের হাতে। এরপর প্রথম বলেই মেহরান ফিরিয়ে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাই জাগে তার।
তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু অস্ট্রেলিয়ার। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে একশ ছাড়ানো জুটি গড়েন মার্কোস স্টয়নিস। ১৯তম ওভারে গিয়ে এই জুটি ভাঙেন কলিমউল্লাহ। ৫১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রান করা ওয়ার্নার ক্যাচ দেন তার বলে।
তবে আরেকপ্রান্তে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন স্টয়নিস। ২ চার ও ৬ ছক্কার ইনিংসে ৩৫ বলে ৬৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষদিকে নেমে ৫ বলে ১০ রান করেন টিম ডেভিড।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওমান। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই আউট হয়ে যান ওপেনার প্রতীক আতহাভালে। মিচেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। ১৬ বলে ৭ রান করে আরেক ওপেনার কেশফ প্রজাপতিকে এলবিডব্লিউ করেন নাথান এলিস।
এরপর শুরু হয় স্টয়নিসের তোপ। পরের তিন ব্যাটার জিশান মাকসুদ, আকিভ ইলিয়াস ও খালিদ কালি তিনজনকেই ফেরান মার্কোস স্টয়নিস। আকিভ ১৮ বলে ১৮, জিশান ৭ বলে ১ ও ১২ বলে ৮ রান করেন খালিদ কাইল।
ওমানের রানকে একশ ছাড়িয়ে নিয়ে যান আয়ান খান। অ্যাডাম জাম্পার বলে হ্যাজিলউডের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। শেষদিকে ১৬ বলে ২৭ রান করেন মেহরান খান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্টয়নিস।
Leave a Reply