বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চন্দনাইশ উপজেলার মােহাম্মদপুরে শােহাদায়ে কারবালা উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলে তকরির করাকালীন সময়ে শায়খুল হাদিস কাজী মাও. মো. মঈনুদ্দীন আশরাফী’র উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে চন্দনাইশে বিক্ষােভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত চন্দনাইশ উপজেলা শাখা।
গত ১৩ আগস্ট বাদে আসর বিক্ষােভ মিছিলটি গাছবাড়ীয়া পুরাতন কলেজ গেইট থেকে খাঁনহাট হয়ে পুনরায় কলেজ গেইটে এসে শেষ হয়। সেখানে এক বিক্ষােভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আত চন্দনাইশ উপজেলা শাখার সভাপতি শাহজাদা খাজা মােবারক আলী, আলোচনায় অংশ নেন, ইসলামী ফ্রন্ট চন্দনাইশ উপজেলা শাখার সভাপতি
অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান নিজামী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাও. সােলাইমান ফারুকী, ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রচার সচিব মাও. রেজাউল করিম তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, মাও. এনাম রেজা আল- কাদেরী, মাও. আবুল কাসেম আনচারী, উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ খতিবী, জিএম শাহাদাত হােসেন মানিক, এইচ এম সেকান্দর, শাহনেওয়াজ চৌধুরী শুভ, আবদুল মুবিন, হাফেজ মাও. আবদুল কাদের, রাজীব রিফাত, আলাউদ্দিন শাহ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, সুন্নীয়তের মতাদর্শের ভিত্তিতে সুফীবাদী সুন্নী মুসলমানদের নেতা, ছােবহানীয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস কাজী মাও. মাে. মঈনুদ্দীন আশরাফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার প্রতিবাদ জানান।
এসময় তারা হামলা কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত। পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। এদিকে এ বিষয়ে আয়ােজক কমিটির সদস্য আবু সুফিয়ান বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে গত ১৩ আগস্ট চন্দনাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন।
জানা যায়, গত ১২ আগস্ট দিবাগত রাতে মােহাম্মদপুর ভূই খাজা(রহঃ) জামে মসজিদে স্থানীয় যুব সমাজের আয়ােজনে শােহাদায়ে কারবালা উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়ােজন করা হয়।
উক্ত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনু। বাদে মাগরিব থেকে মাহফিলে তকরির করেন, বােয়ালখালী আহলা দরবারের শাজ্জাদানশীল মাও. ছৈয়দ আহমদুল হক মাইজভান্ডারী। তাঁর তকরির শেষে তকরির শুরু করেন ছােবহানীয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস কাজী মাও. মাে. মঈনুদ্দীন আশরাফী। মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনুসহ আয়ােজক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মাহফিল চলাকালীন রাত ১ টার সময় হঠাৎ করে একটি গ্রুপ মসজিদের আশে-পাশে অবস্থান নিয়ে তরিকতের বিরুদ্ধে কিছু আপত্তিকর বক্তব্যের কথা উপস্থাপন করে উশৃংখলতা সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনু উভয় পক্ষকে শান্তি কার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাহফিল চলাকালীন সময় রাত আনুমানিক ১টায় কিছু উশৃংখল ব্যক্তি তাদের তরিকতের পীর সাহেবকে নিয়ে কটুক্তি করার কথা বলে হৈ-চৈ শুরু হলে মাহফিল বন্ধ করে চলে যান কাজী মাও. মাে. মঈনুদ্দীন আশরাফী।
বিষয়টি নিয়ে সকাল থেকে সামাজিক প্রচার মাধ্যম ফেইসবুকে লেখালেখি শুরু হয়। উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনু বলেছেন, সেখানে কােন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কে বা কারা একটি মহলকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে তিনি বিষয়টি তাৎক্ষনিক সমাধান করে দেন বলে জানান।
এদিকে আয়ােজক কমিটির আবু সুফিয়ান রিপন বলেছেন, মাহফিল চলাকালীন মাইজভান্ডারী তরিকার কিছু লােকজন মসজিদের বারান্দায় এসে বিভিন্ন রকম উশৃংখল স্লোগান দেয়। ফলে মাহফিল স্থগিত করে হুজুর চলে যান।