অনলাইন ডেস্কঃ ‘মানুষ তার মনুষ্যত্ব অর্জনের পথে অনেকগুলো বিষয়কে ধারণ করে। পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনের পাশাপাশি সংস্কৃতির চর্চা এম মধ্যে অন্যতম। শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মানবমনের সুকোমল বৃত্তিগুলো বিকাশিত হয়। সুরের সাধনায় দূরীভূত হয় মনের কালিমা কুসংস্কার আর ধর্মান্ধতা। অপসংস্কৃতির কালো থাবা তাকে তার মনুষ্যত্বের পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনা। সে তার নীতি আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে চলে সুন্দরের পানে। বাঙ্গালির হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এক জাতি। যুগে যুগে মণীষীরা তাদের সৃজনশীলতা লেখনিতে বাঙালি সংস্কৃতির ভাণ্ডারকে পরিপূর্ণ করেছেন। আর এই ভাণ্ডারের অনেক খানি হলো শিল্পকলার বিষয়াদি। শিল্পকলার এই বিষয়গুলো চর্চার মাধ্যমে ধারণ করে মানুষ পরিপূর্ণতা পায়।’
সম্প্রতি বংশী শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা এসব কথা বলেন। নগরীর খিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে একাডেমির বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা-২০২৩ এর সনদপত্র প্রদান, পুরস্কার বিতরণ ও গুণীজন সংবর্ধনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী নজরুল উৎসব ২৫ মে থেকে শুরু
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক দীপংকর দেবনাথের সভাপতিত্বে রাজীব বড়ুয়ার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত, সরকারি সিটি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর ডক্টর হরিশংকর জলদাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়াইডব্লিওসিএ প্রাইমারি ও জুনিয়র গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সীমা বাড়ৈ। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ক্রীড়া-সংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মফিজুর রহমান।
এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষিকা অনুরুপা দেবী, উত্তম কুমার আচার্য্য, বনফুল বড়ুয়া রাসেল, সত্যজিৎ বড়ুয়া, ভাস্কর বিশ্বাস, সঞ্জয় নাথ, বিটন চাকমা, আকাশ দেবনাথ, বিনীতা বড়ুয়া, মিন্টু কুমার নাথ, রাসেল নাথ, রজেশ বিশ্বাস, নয়ন দাশ, রোমেন চৌধুরী, জয়শংকর দেবনাথ, শুক্লা পাল, সুপ্তি পাল, রাহুল দাশ জয়, হৃদি চৌধুরী, সজল কান্তি মজুমদার, বিজয় দাশ, অংশুমান সেনগুপ্ত, ডালিয়া বড়ুয়া, অর্পিতা দেবী, সৃষ্টি দে ও লক্ষ্মী দাশগুপ্ত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভার পাশাপাশি বংশী শিল্পকলা একাডেমি শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বংশীধনি, সমবেত সংগীতানুষ্ঠান, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতাসর, নৃত্যাঞ্জলী, গীটার বাদন ও কবলা লহড়া বাদন করা হয়।