বিশেষ প্রতিনিধি: বিরল প্রজাতির ‘চশমা পরা হনুমান’ পাচারকালে পাচারকারীকে আটক করে হনুমানটি উদ্ধার পূর্বক চিড়িয়াখানায় প্রেরণ করা হয়। ৩ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পেট্রোল পাম্পের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চন্দনাইশ থানা পুলিশ চেক পোস্ট বসায়। চট্টগ্রাম অভিমুখী এস.আলম যাত্রীবাহী বাসে (চট্ট-মেট্রো-ব-১১-১৫২৯) অভিযান চালিয়ে বাসের ব্যাটারীর বক্সের ভিতর থেকে একটি বিরল প্রজাতির চশমা পরা হনুমানটি উদ্ধার করে। হনুমানটির আনুমানিক মূল্য এক লক্ষ টাকা। পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভার মৃত সামশুল আলমের ছেলে মো. জসীম উদ্দীনকে (৪০) আটক করা হয়। পরে তাকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাসের ব্যাটারীর বক্সের ভিতরে কৌশলে হনুমানটি ঢাকায় নেয়ার চেষ্টাকালে হনুমানটি উদ্ধার করা হয়। হনুমানটি বন বিভাগের মাধ্যমে চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করা হয়। তাছাড়া গত ২৯ মে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়ক ব্যবহার করে দুটি রাজ ধনেশ পাখি গাজীপুর হয়ে ভারতে পাচারের সময় বাস সুপারভাইজারকে আটক করা হয়েছিলো। পরে তাকে ৪ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উল্লেখ্য, এ যে, প্রজাতির হনুমানের পুরো মুখটি ধুসর অথবা কালো রঙের হলেও চোখের চারপাশে রিং আকৃতির সাদা বৃত্তের মত যা দেখতে অনেকটাই চশমার মত। তাই বাংলাদেশে এ প্রাণির প্রচলিত নাম হল ‘চশমা পরা হনুমান’। বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মিশ্র চির সবুজ বনের বাসিন্দা এরা। এছাড়া ও উত্তর-পূর্ব ভারত, পূর্ব বাংলাদেশ এবং পশ্চিম মায়ানমারের গ্রীষ্ম এলাকায়, পর্ণমোচী, চিরহরিৎ বনাঞ্চলে এ চশমা পরা হনুমানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এ প্রাণিটি বর্তমানে মহাবিপন্ন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।