অনলাইন ডেস্কঃ দেশ আলাদা হলেও রবীন্দ্র-নজরুল দুই দেশেই এক অবিচ্ছেদ্য চেতনার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক চর্চা শিশু-কিশোর চট্টগ্রাম বিভাগের চেয়ারম্যান, এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শেখ নওশেদ সরোয়ার পিল্টু। সম্প্রতি চট্টগ্রামের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক চর্চা শিশু-কিশোর চট্টগ্রামের মাসব্যাপী প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় গুণীজন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
নগরীর মোমিন রোডের চট্টগ্রাম একাডেমি হল এ সংগঠনের সহ-সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক সাবরিনা আফরোজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম হলি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বাবু সজীব শীল, সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ডা. উদয় শঙ্কর রায়, সহ-সভাপতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নিহার রঞ্জন ভট্টাচার্য্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক বায়েজিদ ফরায়েজি, ৪০নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, ৪১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন রাজু, সংগঠনের মহিলা সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক সালমা বিনতে
ইব্রাহিম, অর্থ সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ব্যবসায়ী সুভাষ দেবনাথ, চট্টগ্রাম মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কালিম শেখ।
আরও পড়ুন চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি: নির্বাচনের আগে ৫১ সদস্যকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আদেশ
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নওশেদ সরোয়ার পিল্টু আরো বলেন, ‘আগামী প্রজন্মকে রবীন্দ্র-নজরুলের ভাবনায় গড়ে তুলতে হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার উজ্জ্বল প্রতীক রবীন্দ্র-নজরুল বিশ্বময় সমাদৃত।’
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও আলোচনা-পরবর্তী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও নৃত্য প্রশিক্ষক মধু চৌধুরী। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠক কাওসার চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠক অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম মাহবুব, দিলীপ সেনগুপ্ত, অর্চনা রানী দাশ, স্কুল শিক্ষিকা পারভিন আক্তার, নৃত্যপ্রশিক্ষক শিল্পী মার্মা, সংগীত প্রশিক্ষক মৌসুমী গুহ, নবনীতা রায়, মাকনুর আক্তার রিয়া প্রমুখ।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে মাসব্যাপী রবীন্দ্র-নজরুল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখায় গুণীজনদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।