চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাাম বলেন, মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো জিনিস নেই। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮২৯)
আরেক হাদিসে হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া হলো ’ইবাদাতের মগজ বা মূলবস্তু। (তিরমিজি, ৩৩৭১, মুজামুল আওসাত ৩১৯৬, তারগীব ১০১৬)
দোয়া করার ফজিলত সম্পর্কে হজরত সালমান ফারসি রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া অন্য কিছুই ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না এবং নেক আমল ছাড়া অন্য কিছু বয়স বাড়াতে পারে না। (তিরমিজি, ২১৩৯, তারগীব, ১৬৩৯)
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। ১. রোজাদারের দোয়া- যখন সে ইফতার করে। ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া। ৩. মাজলুম বা অত্যাচারিতের দোয়া। অত্যাচারিতের দোয়াকে আল্লাহ তায়ালা মেঘমালার উপর উঠিয়ে নেন এবং তার জন্য আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়। আর আল্লাহ তায়ালা বলেন, ’আমার ইজ্জতের কসম! নিশ্চয়ই আমি তোমায় সাহায্য করব কিছু সময় দেরি হলেও। (তিরমিজি, ৩৫৯৮, আহমাদ ৮০৪৩, বায়হাকি, ৬৩৯৩)
আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিঃসন্দেহে তিন ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়। ১. পিতার দোয়া। ২. মুসাফিরের দোয়া। ৩. মাজলুমের (পীড়িতের) দোয়া। (আবু দাউদ, ১৫৩৬, তিরমিজি, ১৯০৫, ইবনু মাজাহ, ৩৮৬২)