অনলাইন ডেস্কঃ অশুভ শক্তির বিনাশ করে বিশ্ব সংসারের মঙ্গল কামনার প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ‘অন্নদাত্রী’কে বিদায় জানিয়েছেন চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
বেলতলায় দেবীর নিদ্রাভঙ্গের বন্দনায় হিন্দুদের যে উৎসবের সূচনা হয়েছিল, বিজয়া দশমীতে তার সাঙ্গ হল বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। ফের দেবীকে মর্ত্যে আমন্ত্রণ জানাতে অপেক্ষা করতে হবে এক বছর।
চট্টগ্রামে মঙ্গলবার দশমীর সকালে বিহিত পূজা সম্পন্ন করে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি ও শান্তির জল ছিঁটানোর পর দর্পণ-বিসর্জেনর আয়োজন সম্পন্ন হয়। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হল হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
আরও পড়ুন দুর্গাপূজায় সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত চট্টগ্রাম: শুভেচ্ছা বাণীতে চসিক মেয়র
বন্দর নগরীর পূজামণ্ডপের প্রতিমাগুলো ট্রাকে কিংবা ভ্যানে করে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য নেওয়া হয় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও কর্ণফুলী নদীর তীরে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে প্রতিমা বিসর্জনে ভোগান্তিও পোহাতে হয়েছে। পলিথিন বা ত্রিপলে মুড়ে প্রতিমা তোলা হয় ট্রাকে।
প্রতি বছরের মত এবারও বিসর্জনের প্রধান স্থান ছিল পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট, অভয়মিত্র ঘাট এবং বিভিন্ন এলাকার পুকুরেও দেওয়া হয়েছে বিসর্জন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকে পতেঙ্গা সৈকতে না গিয়ে কর্ণফুলী নদীতেই বিসর্জন দেন।
Leave a Reply