আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে অনড় শিক্ষক সমাজ


অনলাইন ডেস্কঃ সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন করছেন শিক্ষকেরা। মঙ্গলবার (২৫ জুন) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সকাল ৯টা থেকে তিন দফা দাবিতে তিন দিনের অর্ধদিবস করে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে চুয়েট শিক্ষক সমিতি। সেই সঙ্গে কর্মবিরতি চলাকালে আজ মঙ্গলবার এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচিও করেন তারা।

চুয়েট সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কিম-সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে চুয়েট শিক্ষক সমিতি ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে ২৫ জুন বেলা ১১টা থেকে ১ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর প্রশাসনিক ভবনের সামনে সব শিক্ষকের অবস্থান গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আহ্বানে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষকরা। কর্মবিরতি চলাকালে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. এটিএম জহিরউদ্দিন, অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান, অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল।

আরও পড়ুন সর্বজনীন পেনশনে কেএসআরএম এর অনন্য উদ্যোগ

এ সময় বক্তারা বলেন, উন্নত, বুদ্ধিদীপ্ত ও তারুণ্যদীপ্ত জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাদের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্নের অপচেষ্টায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি করার সিদ্ধান্ত দুরভিসন্ধিমূলক। এটি বাস্তবায়ন হলে আগামীতে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবেন। ফলে এই পেশাটি কম আকর্ষণীয় হবে এবং মেধা বাইরে পাচার হতে পারে।

বক্তারা আরো বলেন, গত মে মাস থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলন চলছে। এখনো এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আমরা পাইনি। ২৫ থেকে ২৭ জুন তিন দিন অর্ধদিবস ব্যাপী কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপর ৩০ জুন পরীক্ষাকে আওতামুক্ত রেখে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এরপরও দাবি পূরণ না হলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি (ক্লাস, পরীক্ষা ও সমস্ত দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে) পালন করা হবে। বক্তারা অবিলম্বে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত না করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রণয়ন এবং সুপার গ্রেড প্রদানের দাবি জানান।

তথ্যসূত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর