আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: অ্যালেস্যান্দ্রো জোসেফ অ্যান্তোনিও অ্যানেস্তেসিও ভোল্ট্যা

বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ অ্যালেস্যান্দ্রো ভোল্ট্যার কীর্তি


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তার পুরো নাম অ্যালেস্যান্দ্রো জোসেফ অ্যান্তোনিও অ্যানেস্তেসিও ভোল্ট্যা। তবে তিনি ভোল্ট্যা নামেই বেশি পরিচিত। ১৭৪৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ইতালির কোমো শহরে জন্মেছিলেন তিনি। অ্যালেস্যান্দ্রো একই সঙ্গে পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ ছিলেন। ১৭৭৬ সালে মিথেন গ্যাস আবিষ্কার, ১৭৭৮ সালে মিথেনকে জমাটবদ্ধ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন, ১৭৯৯ সালে ভোলাটিক পাইল উদ্ভাবন, ১৮ শতকে বৈদ্যুতিক ব্যাটারি উদ্ভাবনের মাধ্যমে সারাবিশ্বে সাড়া জাগিয়েছিলেন তিনি। ভোল্ট্যা বিশ্বকে প্রথম জানিয়েছিলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে কার্যকর ধাতব পদার্থ হলো দস্তা ও রূপা। তিনিই প্রমাণ করেছিলেন, রাসায়নিক পদার্থ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

অ্যালেস্যান্দ্রো নিজের উদ্ভাবন দিয়ে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের মন জয় করেছিলেন। নেপোলিয়ন তাকে তার উদ্ভাবন প্রদর্শনের জন্য ইনস্টিটিউট অব ফ্রান্সে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এরপর আলেস্যান্দ্রো তার জীবনজুড়ে সম্রাটের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন, অর্জন করেছিলেন অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার।

আরও পড়ুন ক্যানসারের টিকা তৈরির দ্বারপ্রান্তে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা

আন্তর্জাতিক বৈদ্যুতিক সম্মেলনে (আইইসি) বৈদ্যুতিক বিভবের (শক্তির) একক আবিষ্কারক হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীরা তাকে স্বীকৃতি দেয়।

এসব উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে তিনি প্রায় চার দশক ধরে প্যাভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীক্ষাধর্মী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।

কোমো জাদুঘরের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তার আরও উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুৎকোষ, ক্যাপাসিট্যান্স নীতি, ভোল্ট, ভোল্টেজ, ভোল্টমিটার। ভোল্টা পটেনশিয়াল ও ভোল্টা পিস্তল। তিনি স্থিরবিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্র ইলেকট্রোফোরাসের উন্নয়ন ঘটান এবং যন্ত্রটি জনপ্রিয়তা পায়। ১৮২৭ সালের ৫ মার্চ ভোল্টা মারা যান।

তথ্যসুত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর