নিউজ ডেস্ক >>> কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বস্তাবন্দী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার মোটিভ উদঘাটনসহ র্যাব-১৫ একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ সকালে ভিকটিম তাহমিনা আক্তার(০৭) মাদ্রাসায় গিয়ে স্কুলের পাশে খেলাধুলা করার সময় একই ওয়ার্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গা নুর হাফেজ তাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার টমটমে করে এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায়। মূলত নুর হাফেজ উক্ত ভিকটিমের কানের স্বর্ণের দুলের লোভে তাকে নিয়ে যায় বলে জানায়। কানের দুল দুটি তার কান থেকে নিয়ে নিলে ভিকটিম তার বাবা-মাকে বলে দিবে বললে তখন উক্ত ঘাতক নূর হাফেজ চুরির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। তখন ভিকটিম বেশি নাড়াচাড়া করলে বালিশ দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত হলে একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে রেখে দেয় এবং সন্ধ্যা হলে সে বস্তাবন্দি লাশটি রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র্যাব উক্ত হত্যাকান্ডের পরবর্তী ছায়াতদন্ত সহ ঘাতকদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আভিযানিক কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্ণিত ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ আনুমানিক ১৭.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার আসামী নুর হাফেজ (২৬), পিতা-মোঃ আইয়ুব, মাতা-মৃত হুমায়রা বেগম, সাং-শাহপরীর দ্বীপ মাঝের ডেইল, ৮নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামি হত্যাকান্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।গ্রেফতারকৃত আসামীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব-১৫ -এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।