অনলাইন ডেস্কঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের হিসাবে গরমিল খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলা অভিযানে অনিয়মের প্রমাণ পায় দুদক।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম ১ এর সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় সরকারি ওষুধ চুরিতে জড়িত সাতজনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করেছে দুদক টিম।
জানা গেছে, রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। দুদক টিম প্রথমে হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগ থেকে অভিযান শুরু করে। এরপর হাসপাতালের ১৩ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডেও অভিযান চালায়। অভিযানে সরকারি ওষুধ সরবরাহে গরমিলের প্রমাণ পান।
আরও পড়ুন চমেক হাসপাতালে চোরাই ওষুধসহ ধরা পড়লো চক্রের সদস্য
এছাড়া সরকারি ওষুধ রোগীদের না দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দেয় সরকারি ওষুধ চুরি চক্রে জড়িত হাসপাতালের কর্মচারীরা। এমনকি চিকিৎসক থেকে রোগীর ব্যবস্থাপত্রও লিখিয়ে নিতেন ওই চক্র। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ওষুধ না পেলেও তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সেই ওষুধ বাইরে বিক্রি করার প্রমাণ পেয়েছে দুদক টিম।
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, ‘ওষুধের স্টোর থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত রোগীদের জন্য সরবরাহকৃত ওষুধ আদতে রোগীরা পায়না। স্টোরে যারা দায়িত্বে আছেন এখানে তাদের কারসাজি রয়েছে। সেইসাথে রেজিস্ট্রারে আমরা গরমিল পেয়েছি। গরমিলের নথি আমরা সংগ্রহ করেছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে দুদকের সদর দপ্তরে একটি প্রতিবেদন পাঠাব।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মার্চেও দুদকের একটি অভিযানে ওষুধ সরবরাহে গরমিলের প্রমাণে পেয়েছিল দুদক টিম। সেসময় দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুছ সাদাত ওই অভিযান পরিচালনা করেন।
তথ্যসূত্র: সিভয়েস২৪
Leave a Reply