নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইসলাম ধর্মানুসারে বৃক্ষরোপন পূণ্যের কাজ (ছদকায়ে জারিয়া)। এ ধরনের কাজের সুফল ইহলোকে এবং পরলোকে ভোগ করে মানুষ। তাই একটি গাছের চারা, একটি ইন্স্যুরেন্স বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটির সাবেক সদস্য ও চন্দনাইশ সমিতি চট্টগ্রামের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী।
শুক্রবার ( ৪ আগষ্ট ) ‘লাগাই গাছ, বাড়াই বন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির আয়োজন করে চন্দনাইশ সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম ও ইউনাইটেড ইয়ুথ ক্লাব।
এ উপলক্ষ্যে ওইদিন সকালে পূর্ব ছৈয়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচী।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৈয়ূম চৌধুরী আরো বলেন, ‘বৃক্ষরোপণের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বৃক্ষের পরিচর্যা করতে হবে। তাতে করে মানবজাতি ও প্রাণীকুলের বৃহত্তর কল্যাণ সাধিত হবে।’
তাহমিদুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চন্দনাইশ সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক এম এ রাজ্জাক রাজ, সাধারণ সম্পাদক মো.কমরুদ্দীন, আওয়ামীলীগ নেতা ইয়াসিন চৌধুরী দুলাল, মাষ্টার মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক যথাক্রমে আমিনুল ইসলাম রুবেল, এস এম ওমর ফারুক, হেলালউদ্দিন নীরব, শাহাদাত হোসেন মুরাদসহ ইউনাইটেড ইয়ুথ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ‘ভারসাম্যপূর্ণ ও দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে বৃক্ষরোপণ তথা বনায়নের বিকল্প নেই। গাছবিহীন পৃথিবী এক মুহূর্তও অসম্ভব। মানুষের যাপিত জীবনের সব কিছুই গাছকে ঘিরে। তাই গাছ নিধন হলে গাছ শুধু একাই মরে না। মানুষসহ প্রায় সব প্রাণসত্তার জন্যই তা ঝুঁকি ও উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটি পূর্ণবয়স্ক বৃক্ষ বছরে যে পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করে, তা কমপক্ষে ১০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের বার্ষিক অক্সিজেনের চাহিদা মেটায়। তাই বৃক্ষ রোপন ও এর পরিচর্যা উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।’
সভা শেষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।