শিশুমৃত্যু, অন্ধত্ব প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি সমাজেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে, এজন্য অভিভাবক, শিক্ষক ও সমাজের নেতৃস্থানীয়দের সচেতন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাব্বির রাহমান। গত ৩১ অক্টোবর ফটিকছড়ি উপজেলাযর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মিলনায়তনে ৬বছরের কমবয়সী শিশুর চোখের ক্যান্সার জনিত কারণে শিশুমৃত্যু ও অন্ধত্ব (রেটিনোব্লাস্টোমা) প্রতিরোধ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘সমাজ ও দেশের মানুষের জন্য যারা ভালো কাজ করে আমি তাদের পাশে থাকতে চাই এবং উপজেলা থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে।’
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম রোটারী ক্লাব অব চিটাগং খুলশী, রোটারী ক্লাব অব মিয়াবুশ, জার্মানির আয়োজনে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল গ্রান্ট প্রজেক্ট, জিজি ১৯৮২২৩৭ এর অর্থায়নে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ১০০ জন মাদ্রাসা ও প্রাইমারি শিক্ষক।
কর্মসূচীর প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজী জানে আলী প্রাইমারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবীণ কুমার ভট্টাচার্য ফটিকছড়িতে বিগত এক যুগে শিশুদের অন্ধত্বজনিত কর্মসূচীর অনুষ্ঠান এই প্রথম বলে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। ট্রেনিং কর্মসূচীর পরে উপস্থিত ও আয়োজকসহ সকলের জন্য দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন মৌলানা আনিসুর রহমান চৌধুরী।
মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফটিকছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. হাসানুল কবির। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেসিডেন্ট ডা. নাঈম হাসান অভি, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ড. সেলিম রেজা, সিরাজ আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাজিদুল হক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডা. বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, ফিল্ড সুপারভাইজার বোরহান উদ্দিন, মুহতাসিন বিল্লাহ, পায়েল বৈদ্য, অশোক নন্দী, সুজিদ দাশ, মিন্টু দে প্রমুখ।