আজ ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাতকানিয়ায় জরাজীর্ণ একটি রাস্তার জন্য এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক >>>চট্টগ্রাম সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়ার ডেঙ্গা একটি গ্রামীণ রাস্তার ভাঙ্গাচুরা বেহাল অবস্থার কারণে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ দীর্ঘদিন থেকে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী রাস্তাটি দ্রুত  উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।এদিকে চলাচলে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে চাঁদা উত্তোলন করে রাস্তার মেরামত করছে এলাকাবাসী।অভিযোগ উঠেছে জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিরা দেখলেও না-দেখার বান ধরে আছে যা পশ্চিম গাঁঠিয়া ডেংগা বাসীর সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।পশ্চিম গাঁঠিয়া ডেংগা ঘা ঘেঁসে ছুটে চলছে ডলু নদী ২০২৩ সালের ভয়াবহ বন্যায় লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া প্রতিটি রাস্তা যা গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করবে তো দূরের কথা স্বাচ্ছন্দ ভাবে মানুষ চলাচল করতে ভয় পাচ্ছে কখন যেন কি হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভেংগে যাওয়া কিছু রাস্তা মেরামত করার নামে কি তামাশা হয়েছে তা এলাকাবাসী দেখছে এবং বাকি রাস্তা গুলো ২০২৩ সালের বন্যার পরে তেমনি পড়ে আছে আজও। কেউ কিছু বললেই শুধু শান্তির বানী শুনিয়ে যায় জন দরদী মানবিক জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিরা টেন্ডার হয়েছে কাজ হবে এমন কথা শুধু শুনা যাচ্ছে তবে কাজ কখন শুরু হবে তার কোনো সঠিক জবাব এখনো পাইনি এলাকাবাসী। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের পর আজ ২০২৪ সাল আজ পর্যন্ত এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম গাঁঠিয়া ডেংগা এই গ্রাম অবহেলিত নাম মাত্র উন্নয়ন করে চলে গেছে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা দৃশ্যমান কোনো কাজ তারা কেউ করেনি কেন কাজ করেনি এমন প্রশ্ন করলে এলাকাবাসী জানায় নামধারী জনপ্রতিনিধি হয়ে আসছে আমাদের মাঝে কিন্তু দৃশ্যমান উন্নয়ন কেউ দেখাতে পারেনি এবং তাদের ভূমিকার রহস্যের গন্ধ পাওয়া গিয়েছেপাওয়া যাচ্ছে যা অবহেলিত পশ্চিম গাঁঠিয়া ডেংগা বাসীর জন্যে বিশেষ এক দুঃসংবাদ এবং মেম্বার চেয়ারম্যান নামে ব্যক্তিরা যেন পূনরায় এই এলাকায় আসতে না পারে সেই সিদ্ধান্ত ও ঠিক করে বসে আছে কিছু সচেতন ব্যক্তি মহল। এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অবহেলিত পশ্চিম গাঁঠিয়া ডেংগা নামক গ্রামে এওচিয়া ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড রয়েছে ৭ -৮-৯ তিনটি ওয়ার্ডের মানুষ বর্ষা মৌসুমে কেমন জীবন যাপন অতিবাহিত করে সরে জমিনে না গেলে বুঝতে খুব কষ্ট হবে তবে ঠিকই বুঝতে পারে সেই তিনটি ওয়ার্ডের সংগ্রামী মানুষগুলো। দিন বদলের স্লোগান দিয়ে নতুন দিগন্তের সুচনা করবে বলে যারা নির্বাচন আসলে রবি ঠাকুরের শান্তি আর উন্নয়নের বানী শুনিয়ে ফায়দা লুটিয়ে নিয়েছেন তাদের লজ্জা হওয়া উচিত বলে মনে করছে অনেকে এলাকাবাসী এ-ও বলতে শুনা গিয়েছে বর্তমানে যারা সেবক এর নাম দিয়ে দানবের ভুমিকা নিয়ে তাদের মাথার উপর বসে আছে অতিদ্রুত মাথার উপর থেকে সরে যাওয়ার জন্য ও বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন। কোথায় অবস্থিত পশ্চিম গাঁঠিয়া ডেংগা এবং পশ্চিম গাঁঠিয়া ডেংগা গ্রামের সাথে কোন কোন গ্রামের সাথে জয়েন্ট হয়েছে তা একটু বিস্তারিত জানিয়ে রাখা ভালো সাতকানিয়া পশ্চিম ডলুর ব্রিজ থেকে ডলু নদীর পাড় ঘেঁসে উওরে সোজা গোলার ঘাট বাজার ঘোলার বাজার থেকে ৭/৮/৯ ওয়ার্ড হইয়া আমিলাইশ ইউনিয়ন পূর্বে ইছামতী আলিনগর পশ্চিমে কাঞ্চনা ইউনিয়ন হাজার হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তা ঘাটের ভয়াবহ এমন পরিস্থিতি হলে জন প্রতিনিধিদের কাজ কি তাও জানতে চান এলাকাবাসী । আসুন কি কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে অবহেলিত পশ্চিম গাঁঠিয়া ডেংগা গ্রামে তা জেনে নেওয়া যাক পশ্চিম গাঁঠিয়া ডেংগা উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিম গাঁঠিয়া ডেংগা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সহ তিনটি প্রাইমারি স্কুল তিনটি নূরানী মাদ্রাসা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী কি ভাবে যাতায়াত করে তা কি কারো কাছে খবর আছে এবং রাখে তা নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা যায় অনেকে। সকল নাগরিক তার অধিকার থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে সকল জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনের পূর্বে জনগণ কে দেওয়া কমিটমেন্ট যেন রক্ষা করে তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে এবং সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক লাঞ্চিত বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের যার যার অধিকার নিজ নিজ দায়িত্বে বুঝে নিতে ভুল করবে না পুনরায় তাও জানিয়েছেন অনেক এলাকাবাসী।এই বিষয়ে সাতকানি উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে বলেন গতবছর ডলু নদীর ভাঙ্গনে অনেক রাস্তা জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।যেহেতু গত বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছিল।এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)মিল্টন বিশ্বাস বলেন,আমরা গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পুরো ইউনিয়নের একটি তালিকা প্রণয়ন করেছিলাম,গত আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে ডলু নদীর ভাঙ্গত রোদ নিয়ে কথা হয়েছে।এলজিডি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে,জনবহুল রাস্তা গুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর