ভারত ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির বন্ধন চিরকাল অব্যহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম আবুল কালাম। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রাচীন কাল থেকে বহমান আছে। দেশ ভাগের ফলে ভূখন্ড ভাগ হয়েছে কিন্তু সংস্কৃতি ভাগ হয়নি। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার আছে বলে সংস্কৃতির মিল বন্ধন এখনো প্রবাহমান আছে। এ বন্ধন চিরকাল অব্যাহত থাকবে। সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি হাজারো বছরের পুরানো ধারা। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শুধু সহযোগিতা করেনি সাথে থেকে যুদ্ধও করেছে।
বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মো. মোস্তফা সরোয়ার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘দুই বাংলার সংস্কৃতিক বিকাশে এ সংগঠন ভুমিকা পালন করে আসছে। পাশাপাশি মেধাবী প্রতিভাবানদের যথযথ মূল্যায়নের একটি স্থান তৈরী হচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জিএম মাহফুজা আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশী সংস্কৃতি আর ভারতীয় বাংলা সংস্কৃতির মধ্যে মিল রয়েছে। সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ সংস্কৃতি মৈত্রী পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি লালন সংগীত শিল্পী লুপর্ণা মুৎসুদ্দি লোপার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ফয়সাল করিম মাইজভাণ্ডারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদের সভাপতি রাধা রাণী দত্ত, ব্যবসায়ী নেতা লায়ন আজিজুল হক নসু, ভারত বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. ইসমাঈল হোসেন রকি, প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির আহম্মদ খান, অর্থ সম্বপাদক সমুর কুমার দে, মিলন আচার্য্য, মো. কায়েস উদ্দিন, সরোয়ার জাহান সাগর, এড. সমর কান্তি সরকার, মো. আরিফ মোল্লা, সমো. বায়েজিদ আলম, মো. শামসুল আলমসহ বিভিন্ন জেলার কমিটির নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শ্রাবন্তী শুক্লা, শিলা তনু, মেহেদী হাসান, সোমা রায়, সিগ্ধা দাশ পুজা, রুবেল চৌধুরী, অনামিকা, শেখ লায়লা নাজনীন ঐশী, এস এম জুবায়ের কাউয়াল, নাদিয়া সুলতানা, বেবী দাশ নুপুর, সুজন আর্চায্য, লক্ষী দত্ত রায়, ফারুক আহমেদ, কাকলী দাশ গুপ্তা প্রমুখ।
Leave a Reply