ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হয়েছে বলেই করোনাকালে কোনো কাজ থেমে থাকেনি বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন আমাদের টার্গেট ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট, সমাজ হবে স্মার্ট সোসাইটি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি মৌলিক স্তম্ভ। এক, স্মার্ট সিটিজেন। প্রতিটি নাগরিক (সিটিজেন) প্রযুক্তি ব্যবহারে হবে দক্ষ এবং উপযোগী। দুই, স্মার্ট ইকোনমি। আমাদের অর্থনীতির সব লেনদেন ও ব্যবহার হবে প্রযুক্তি নির্ভর। তিন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট। সরকারি সব সুযোগ সুবিধা ও কর্মকাণ্ড হবে প্রযুক্তর নির্ভর, প্রযুক্তির ব্যবহার হবে সর্বত্র। এবং সবশেষ স্মার্ট সোসাইটি। আমাদের পুরো সমাজটাই হবে প্রযুক্তি বান্ধব।
আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি রাজশাহীতে ‘জয় সিলিকন টাওয়ার’, ‘বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম’ ও ‘বঙ্গবন্ধু সিনেপ্লেক্স’ এবং বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ পালিত হয়। এ দিবসটির পূর্বনাম ছিল আইসিটি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার এ দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ঘোষণা দেয় এবং ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আইসিটি দিবসের পরিবর্তে এ দিনটিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’। দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি।
তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর
Leave a Reply