দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে অনন্য ও যুগান্তকারী বলে বর্ণনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সম্প্রতি রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয়ে আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেতার বেসরকারি খাতে উন্মোচিত হয়েছে। শুধু বিটিভি ছিল, এখন ৪৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল। শুধু বাংলাদেশ বেতার থেকে এখন ২৭টি এফএম ও ৩২টি কমিউনিটি রেডিও লাইসেন্স পেয়েছে। গত ১৪ বছরে পত্রপত্রিকার সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। আর কত হাজার অনলাইন পত্রিকা এবং ওয়েব পোর্টাল হয়েছে, তা গবেষণার বিষয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সকল মানুষের সমান অধিকারের কথা আমাদের সংবিধানে প্রোথিত এবং দেশের গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনভাবে শুধু কাজই করছে না, দ্রুত বিকাশও লাভ করছে। বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে সকলের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যই এ আইন। বিশেষ কোনো মানুষ, গোষ্ঠী বা পেশার জন্য নয়। আশেপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, সিংগাপুর থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কন্টিনেন্টাল ইউরোপের দেশগুলো, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশে এ আইন আছে। কারণ এর বাস্তব প্রয়োজন রয়েছে।
মন্ত্রী এ সময় এ আইনের বলে একজন গৃহিণী কিভাবে তার চরিত্রহননের অন্যায়ের প্রতিকার পেয়েছেন, সে উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিক এ আইনের সুরক্ষা নিয়েছেন এবং আইনটির অপপ্রয়োগ রোধে সরকার সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
বৈঠকের সঞ্চালক জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস (এুিহ খবরিং) তার স্বাগত ভাষণে ৫ম বারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে রেকর্ড ভোটে বাংলাদেশের নির্বাচিত হওয়া এবং এ দেশে গণমাধ্যমের ক্রমবর্ধমান বিকাশের কথা উল্লেখ করেন। আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্দ।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, এডিটরস গিল্ড সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, আর্টিকেল ১৯ এর বাংলাদেশ প্রধান ফারুখ ফয়সল, অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, জাপান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব কোবায়াশি ইয়োশিয়াকি , ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা বৈঠকে দেশে গণমাধ্যমের আরো উন্নয়নে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
Leave a Reply