আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

হাটহাজারীর জোড় ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে কাঁদলেন সহস্রাধিক মুসল্লি


চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত পাঁচ দিন দিনব্যাপী ১১ জেলার বিভাগীয় জোড় ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর ) সকালে এই ইজতেমার শেষ হয়।

ঈমান, তালিম, দাওয়াতিকাজ, ইসলামী শিক্ষা, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের মুক্তির প্রত্যাশায় হেদায়াতি বয়ান শেষে মসজিদভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য-সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, সুখ-সমৃদ্ধি ও বিশ্বশান্তি এবং কল্যাণ কামনা করা হয়।

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রবিবার রাত ও সোমবার ফজরের নামাজের পর থেকে চর্তুদিক থেকে হাটহাজারী-নাজিরহাট মহাসড়ক দিয়ে ইজতেমাস্থলে হাজার হাজার মুসল্লির ঢল নামে। তাছাড়া ইজতেমা প্রাঙ্গণের মাঠ ও আশেপাশের বাড়িঘরের উঠান-আঙ্গিনায় বিপুল সংখ্যক মহিলাও আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় । চারিয়া গ্রাম, ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশ এলাকা পরিণত হয় কানায়-কানায়।

সোমবার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার মুসুল্লি মহাসড়কে হেঁটে চারিয়া গ্রামে ইজতেমা ময়দানে এসে সমবেত হয়। সকাল নাগাদ ইজতেমার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা ও অলিগলিতে অবস্থান নেন। এছাড়া প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ইজতেমাস্থলের শামিয়ানায় পৌঁছাতে না পারা তথা ইজতেমাস্থলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক মুসল্লি মহাসড়ক ও সড়কে অবস্থান নেন। তারা যে যার অবস্থা থেকে দাড়িয়ে মোনাজাতে অংশ নেয় ।

আখেরি মোনাজাত শুরু হয় সকাল ৮টা ১৬ মিনিটে শেষ হয় ৮ টা ৩১ মিনিটে । কাকরাইলের মুরুব্বী মাওলানা রবিউল হক সাহেব মোনাজাত পরিচলনা করেন। তার সঙ্গে লাখো মুসল্লি দুই হাত তুলে ‘আমিন, আমিন ধ্বনি’ তোলেন। এ সময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ‘আমিন, আমিন ধ্বনিতে’ মুখরিত হয়ে ওঠে হাটহাজারীর চারিয়া গ্রামসহ আশপাশের এলাকা।

৮টা ১৬মিনিট থেকে প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্ত আখেরি মোনাজাতে মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে কেঁদে কেঁদে নিজেদের পাপমোচনে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আখেরি মোনাজোতের অংশ নেওয়ার মুসল্লিরা। তারা পাপ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে আকুতি-মিনতি করেছেন। দেশ-জাতি-মানবতার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি চেয়েছেন। মানুষের জন্য রহমত ও শান্তি কামনা করেছেন। একই সঙ্গে ইসলামের আলোকে নিজেদের জীবন গঠন এবং সেভাবে জীবনযাপনে আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন।

তথ্যসূত্র: পূর্বকোণ


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর