ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের দু’দিন পর ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটির জাভা প্রদেশে। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭১ জনে, যাদের বেশির ভাগই শিশু। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ এবং নিখোঁজ দেড় শতাধিক।
শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ঘরবাড়ি। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বহু অঞ্চল। সেই ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক মরদেহ। ধ্বংসস্তুপ সরাতে গিয়েই জাভার সিয়ানজুরে ধসে পড়া একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মীরা। ভূমিকম্পের দুদিন পর অর্থাৎ বুধবার (২৩ নভেম্বর) আজকা মাওলানা মালিক নামের ওই শিশুকে উদ্ধার করা হলো।
উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, কোনো খাবার কিংবা পানি ছাড়াই মাওলানা মালিক নামের শিশুটি দুই দিন ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিল। তাকে তার দাদির মরদেহের পাশে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে যারা এখনো নিখোঁজ স্বজনদের অপেক্ষায় আছেন তাদের অনেকেরই মনে তাদেরকে জীবিত ফিরে পাওয়ার আশার সঞ্চার হয়েছে।
অনলাইনে স্থানীয় দমকল বিভাগের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধারকারী দল ছয় বছর বয়সী ওই শিশুকে তুলে আনছেন। এ সময় শিশুটি বেশ শান্ত ছিল। সালমান আলফারিসি নামে ওই শিশুর এক আত্মীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সে (আজকা মাওলানা মালিক) এখন ভালো আছে। সে আহত হয়নি, তবে দুদিন না খেয়ে থাকার কারণে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। একটি তোশকের ভেতরে থাকার কারণে ছেলেটি বেঁচে যায়।
শিশুটির মা ভূমিকম্পে মারা গেছেন। সালমান বলেন, মালিক এখন বারবার বাড়িতে যেতে চাচ্ছে। ঘুমন্ত অবস্থায়ও সে তার মায়ের কথা জিজ্ঞেস করছে। এদিকে শিশুটিকে উদ্ধারের পরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্থানীয় অনেকে। শিশুটি ঘুমের মধ্যে বারবার মাকে ডাকছে। তার মা গত সোমবার এই ভূমিকম্পে মারা গেছেন।
তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর
Leave a Reply