জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের উদ্যোক্তা সম্মেলনে ৩১ তরুণ উদ্যোক্তাকে দেওয়া হয়েছে ‘জেসিআই তরুণ উদ্যোক্তা অ্যাওয়ার্ড-২০২২’। এর মধ্যে ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ‘দ্য চেঞ্জ মেকার অ্যাওয়ার্ড।’
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান শুটিং কমপ্লেক্সে তরুণ উদ্যোক্তাদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নগদ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। এ সময় জেসিআই বাংলাদেশের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা তরুণ উদ্যোক্তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগদ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত। আপনারা জানেন, আমরা শুধু সুযোগ খুঁজি কীভাবে বড় হতে পারি। ১০ টাকার একটি লটারি দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। কিন্তু অপরচুনিটি সব সময় নিতে হয় না, সেটার জন্য কাজ করতে হয়। আমি মনে করি ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি আপনার চারপাশের সমস্যা সমাধান করতে পারলেই আপনি সফল হবেন। অনেক আইডিয়া আবিষ্কারের চেয়ে আপনি যদি সমস্যা সমাধান করতে পারেন, তাহলেই আপনি সফলতা পাবেন। নগদ মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে।
নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আমরা যখন নগদ শুরু করি তখন অনেকেই বলেছে, ১৭টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং করতে গিয়ে শত শত কোটি টাকা ইনভেস্ট করেছে। কিন্তু আমি বলেছি আমরা এটাকে সহজ করব। আমি দেখেছি, একটা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে দুই পাতার ফরম পূরণ করতে হয়, আমি নিজেও সেটা তিনবার করেছি। আমি এ সমস্যাটাই সমাধান করার চেষ্টা করেছি। একটা সেলফি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি দিলেই অ্যাকাউন্ট ওপেন হয়ে গেছে। আমরা এ পরিবর্তনটাই করেছি। এখন আমাদের নগদ গ্রাহক ৬ কোটিরও বেশি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেসিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। তিনি বলেন, জেসিআই বাংলাদেশ বিশ্বাস করে তরুণ নেতৃত্বে। আমরা সেই পরিবর্তনের জন্যই কাজ করছি। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে জেসিআইয়ের পাঁচ হাজার সদস্য রয়েছেন। যারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল। জেসিআই সমাজের পরিবর্তনের অঙ্গীকারাবদ্ধ তরুণদের নিয়ে কাজ করে। যারা বিশ্বাস করে আমি পারব, আমরা পারব।
জেসিআই তরুণ উদ্যোক্তা অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন, মোনেম শাহরিয়ার শেজান, রেজওয়ান উল হক, আরেফিন রাফি আহমেদ, খন্দকার নাইমুল হাসান, মো. ইরসাদুল হক, হাবিবুর রহমান জুয়েল, মিনহাজ খান, মো. সোহেল আহমেদ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান, জাফির শফি চৌধুরী, মো. নাহিদ ইসলাম, ইমতিয়াজ উদ্দিন, মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোহাম্মদ এমরান হাসান অভি, মো. কামরুজ্জামান পাভেল, মো. ফখরুল আলম মুকুল, আশাবুস সাফা, রেবেকা সুলতানা বিন্তি, সানামা ফয়েজ, শাফকাত আহমেদ ও মো. মাহমুদুর রহমান।
এ ছাড়া জেসিআই সদস্য ছাড়াও ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় জেসিআই দ্য চেঞ্জ মেকার অ্যাওয়ার্ড। তাঁরা হলেন- এম আমিনুর রহমান, সামিনা সারা, মাহমুদুল ইসলাম সোহাগ, ফাহাদ বিন কামাল, শিখো, ইফতেখার রাফসান, আমবারীন রেজা, মো. ইমরান হোসেন ও আজরা মাহমুদ।
জেসিআই বাংলাদেশের ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান (উদ্যোক্তা) সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অমূল্য অবদান রাখছে। দিনব্যাপী এক্সপোতে প্রায় ৮০টি বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রদর্শন করা হয় যেগুলোর বেশির ভাগই জেসিআই বাংলাদেশের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের উদ্যোক্তারাও এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেন।
তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর
Leave a Reply