আজ ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

আগামীকাল ঢাকা আসছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট


বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার তিন দিনের সফরে আগামীকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকায় আসছেন।
তার সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভুটানের বর্তমান কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেকও থাকবেন বলে বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

রাইসার বলেছেন ‘আমি বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে এবং সরকারের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে পেরে আনন্দিত যা দেশকে নিরবচ্ছিন্ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে থাকতে এবং জনগণের জন্য সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।’

তিন দিনের সফরে রাইসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবেন। তিনি ১ জানুয়ারী, ২০২৩ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ।তারা বিশ্বব্যাংক-সমর্থিত একটি প্রকল্পও পরিদর্শন করবেন।

সেক বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের অনেক ক্ষেত্রে একটি চিত্তাকর্ষক রেকর্ড রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্য হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন এবং দুর্যোগ-ঝুঁকির প্রস্তুতি, এবং স্কুলে তালিকাভুক্তিতে লিঙ্গ সমতা। তিনি আরো বলেন ‘আমি বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ কারণ, দেশটি ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে।’
সেক একজন সেনেগালিজ নাগরিক। ১৯৯৫ সালে একজন অর্থনীতিবিদ হিসাবে তিনি বিশ্বব্যাঙ্কে যোগদান করেন এবং তারপর থেকে বিভিন্ন দেশে নেতৃত্বের পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এই অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়ার আগে, সেক ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, নিরক্ষীয় গিনি, গ্যাবন এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি আফগানিস্তান, মিয়ানমার এবং মলদোভার বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ছিল। তারপর থেকে, বিশ্বব্যাংক দেশটিকে ৩৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদ-মুক্ত এবং রেয়াতি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বড় চলমান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আডিএ) কর্মসুচি রয়েছে যার মোট ৫৫টি সক্রিয় প্রকল্পে ১৫.৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বাসস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর