সিলেট নগরীর জালালাবাদ এলাকা থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় দম্পতির দেড় বছরের এক শিশু এবং একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। আজ রবিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর পাঠানটুলায় পল্লবী আবাসিক এলাকার এক বাসা থেকে ঝুলন্ত মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়।
জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান জানান, নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদরের মনপুর ইউনিয়নের ফন্দিয়া গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে শিপা তালুকদার (২১) ও জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে রিপন দাস (৩০)।
প্রতিবেশী ও নিহত আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রিপন একটি বিস্কুট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। প্রায় আড়াই-তিন বছর আগে এ দম্পতির বিয়ে হয়। তারা ওই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রবিবার সকাল ৯টার দিকে ঘরের ভেতর থেকে ছোট মেয়ের কান্না শুনতে পাওয়া যায়। অনেক ডাকাডাকি করার পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের টিন কেটে তাদের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এসময় দেড় বছরের শিশুটি তার মায়ের পা ধরে কান্না করছিল। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহগুলি উদ্ধার করেন।
ওসি নাজমুল জানান, ওই বাসা থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লিখা আছে, ১আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো।’ তবে চিরকুটটি শিপা নাকি রিপন লিখেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
ওসি নাজমুল আরো বলেন, ‘এখন ময়নাতদন্ত হবে। কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের তথ্য জানা গেছে।’ এ ঘটনার খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, এডিসি গৌতম দেব, জালালাবাদ থানার এসি মিজান, পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদ মামুনসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ২৪
Leave a Reply