আজ ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে শতভাগ শিক্ষার্থী পেয়েছে টিকার প্রথম ডোজ


চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে গত ১৬ই নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ৯ই ডিসেম্বর থেকে ১২–১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিকে কেবল মহানগরের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ করা হয়। পরে উপেজলা পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান শুরু হয়। চট্টগ্রামে এর মাঝে ১২–১৮ বছরের শতভাগ শিক্ষার্থী এক ডোজ করে টিকার আওতায় এসেছে বলে জেলা শিক্ষা অফিস ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গত ২৪শে জানুয়ারি জেলার উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকাদান শেষ হয়েছে। এর আগে (২২শে জানুয়ারি) মহানগরের শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ প্রয়োগ শেষ হয়।

চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় ১২–১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭২ হাজার ২৫৬ জন। এই বয়সের শতভাগ শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। এছাড়া প্রথম ডোজ গ্রহীতাদের মাঝে ৩২ হাজার ৮৪ জন শিক্ষার্থী ২য় ডোজ নিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমে জোর দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে মহানগরসহ জেলার শতভাগ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিস তালিকা সরবরাহ করেছে। তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে এ টিকাদান কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া হয়েছে। কোন শিক্ষার্থী বাদ পড়ে থাকলে, তাদেরও টিকার আওতায় আনা হবে বলেও জানান সিভিল সার্জন।

জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য আরও বলছে, মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় ১২–১৮ বছরের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭২ হাজার ২৫৬ জন। এর মাঝে মহানগরে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৮৩০ জন। আর উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লাখ ৮২ হাজার ৪২৬ জন। এই বয়সের শতভাগ শিক্ষার্থীর প্রথম ডোজ টিকা প্রয়োগ ২৪শে জানুয়ারি শেষ হয়েছে জানিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় শতভাগ শিক্ষার্থীকে আমরা প্রথম ডোজের আওতায় আনতে পেরেছি। কয়েকদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম জোরালো করা হবে। শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমে উদ্যোগী ভূমিকা রাখায় সিভিল সার্জনসহ চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্ল্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর