সরকারের পৌনে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের কমিশন সভায় এ মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সই করেন কমিশনের উপপরিচালক মো. জাহিদ হোসেন। মামলা অনুমোদনের বিষয়টি দুদকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালক পরিকল্পনা) মো. দেলোয়ার হোসেন (যুগ্ম সচিব), পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ মুহাম্মদ আবু জাফর হাওলাদার, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ, অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইলফুল ইসলাম (বর্তমান পরিচালক), যুগ্ম পরিচালক বন্দর জুলফা খানম ও উপ-পরিচালক ইজারা মো. মোস্তফিজুর রহমান, তিন ইজারাদার মোহাম্মদ এজাজ আহমেদ সোহাগ, সাকিব আহমেদ ইমন ও মো. রফিকুল ইসলাম খান। এছাড়া এ মামলায় প্রাক্তন তিন উপ-পরিচালককেও আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- শেখ মো. সেলিম রেজা, মো. কবির হোসেন, মোহা. মাসুদ পারভেজ।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনের কর্তৃপক্ষ (বিডাইডব্লিউটিএ) আওতাধীন আরিচা নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন নব্যসৃষ্ট ‘নগরবাড়ী-কাজিরহাট নরদেহ নদী বন্দরের’ আওতাধীন নগরবাড়ী/কাজিরহাট/নগাদহ বন্দর এলাকায় (এলএসসি) শুল্ক আদায়কেন্দ্র ঘাট পয়েন্ট ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম করেছেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিস্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ক্ষমতা অপব্যবহার করে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজারমূল্যের চেয়ে তিন কোটি ৬৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৪ টাকা কমে ও ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজারমূল্যের চেয়ে তিন কোটি ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯০২ টাকা কমে ইজারা দেওয়া যায়। এতে সরকারের ছয় কোটি ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩৬ টাকা আর্থিক ক্ষতি সাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের অনুমোদিত এজাহারে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসেবে নিয়োজিত থেকে আমদানি-রপ্তানি ও খালাস করা মালামালের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য বা রেকর্ড পর্যালোচনা না করে ঘাটটির চলমান বাৎসরিক ইজারামূল্য চার কোটি ৮০ লাখ টাকা হলেও প্রাক্কলতি মূল্য নির্ধারণে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদন ব্যতিরেকেই ২০২১-২০২২ অর্থবছরের দুই কোটি টাকা ধরে ইজারা অনুমোদন করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, পূর্ণকালীন চুক্তিনামাধারী এ ইজারা না হওয়া সত্ত্বেও ঘাট পয়েন্টের জন্য ২০১১-১২ অর্থবছরে নবায়নের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করা হয়। যেখানে ঘাট ইজারা দেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি।
Leave a Reply