আনোয়ার হোছাইন (নাইক্ষ্যংছড়ি) প্রতিনিধি >>> বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবির চলমান চিরুনি অভিযানে মিয়ানমারে পাচারকালে গরু, সয়াবিন তেল, পাম্প তেল, সাবুদানা এবং একটি মোটরসাইকেলসহ প্রায় ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৪০০ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়েছে।সোমবার (১৭ মার্চ) ভোর রাতে ১১ বিজিবির টহল দল পৃথক অভিযানে তুলাতলি সড়ক থেকে ১,৩৫০ লিটার সয়াবিন তেল এবং ফুলতলী ও জারুলিয়া ছড়ি সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫টি গরু, ১টি মোটরসাইকেল, ১৭৫ কেজি সাবুদানা, ১৪০ লিটার পাম্প তেল এবং ৮৭ পিস মেহেদি জব্দ করতে সক্ষম হয়।বিজিবি সূত্র জানায়, ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েসের নির্দেশনায় সরকারি পরিচালক মোঃ আলা-আমিনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। টহল দল ও অধীনস্থ ফুলতলী এবং জারুলিয়া ছড়ি বিওপির বিজিবি জোয়ানদের পৃথক অভিযানে সীমান্ত সড়ক, রোহিঙ্গা টেইলা ও বক্কর টেইলা এলাকা থেকে এসব মালামাল জব্দ করা হয়।স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, সীমান্তে চোরাকারবারীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে এবং বিজিবির অভিযানের তোয়াক্কা করছে না। তবে বিজিবির টহল জোরদার হওয়ায় চোরাকারবারিদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর মতে, ১০০-এর বেশি চোরাচালান চক্র সক্রিয় রয়েছে, যাদের সাথে গর্জনিয়া বাজারের ১৫-২০ জন ব্যবসায়ী, শতাধিক সিএনজি, মোটরসাইকেল ও টমটম চালক এই চোরাচালানে যুক্ত।সম্প্রতি ফুলতলী, ভাল্লুক খাইয়া ও জারুলিয়া ছড়ি সীমান্তে ১১ বিজিবির কঠোর নজরদারি ও অভিযানে চোরাচালান কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, চাকঢালা, ঘুমধুম, তুমব্রু ও লেবুছড়ি বাজার থেকে এখনো মিয়ানমারে অবৈধভাবে মালামাল পাচার হচ্ছে।এছাড়া, কিছু স্থানীয় ব্যক্তি এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু বাসিন্দা দেশীয় পণ্য মিয়ানমারে পাচারে জড়িত থাকার তথ্যও উঠে এসেছে। স্থানীয় সচেতন মহল বিজিবির এই কঠোর অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন চোরাই পণ্য ও বার্মিজ গরু জব্দে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply