নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতকানিয়ার কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম ডিগ্রি কলেজ-এ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত নবীন বরণ, অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকারিয়া সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট, মুক্তিযুদ্ধের বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ।
শিক্ষার মানোন্নয়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর এই মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”
ইংরেজি বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ-র সাবলীল সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যক্ষ আবুল কাশেম কলেজের সামগ্রিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এনামুল হক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর কর্ণেল (অব.) অলি আহমদের সুযোগ্য পুত্র, কলেজের দাতা সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন ড. জাহেদ হোসেন সিকদার, কলেজ গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য জনাব গোলাম কিবরিয়া শিমুল, সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোস্তফা কামাল খান প্রমুখ।
শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক হামেদ হাসান, যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মাসুদ চৌধুরী এবং সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক বেলাল মোহাম্মদ চৌধুরী, অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক জাহেদুল ইসলাম, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন রাকিবুল ইসলাম, তানজিনা সোলতানা, সিদরাতুল মুনতাহা সাফা, মিফতাহুল জান্নাত, তৌহিদুল ইসলাম ইমন ও সিংসিং মারমা।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় নৃত্য ও সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানে আনন্দঘন আবহ সৃষ্টি হয়।
সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকারিয়া সিকদার কলেজ প্রতিষ্ঠায় সকল অবদানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে গভর্নিং বডির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি আরো বলেন, উৎসাহ-উদ্দীপনায় পরিপূর্ণ এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করবে এবং অভিভাবক ও শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
Leave a Reply