আব্দুল্লাহ আল মারুফ >>> কোন ভাবেই থামছেনা মাটি কাটা দিনে ও রাতে বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির মাটি কেটে সাগরে পরিনত করছে মাটি খেকোরা চলছে মাটির বিক্রয়ের মহোৎসব।তারই অংশ বিশেষ,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী,খাগরিয়া ইউনিয়নের কৃষি জমির টপসয়েল কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন সাতকানিয়া ভ্রাম্যমান আদালত।বুধবার (২৯ জানুয়ারি) উপজেলার কেঁওচিয়া তেমুহনী,খাগরিয়া,ইউনিয়নে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস,ও অফিসার ইনচার্জ,জনাব মোহাম্মাদ মোস্তফা কামাল খান।অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন সাতকানিয়া থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।স্থানীয়রা জানান,প্রতিবছর আমন ধান কাটার পর থেকে বর্ষাকাল শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এক শ্রেণীর অসাধু মাটি ব্যবসায়ী গরিব কৃষক ও জমির মালিকদের টাকার লোভ দেখিয়ে আবাদি জমির মাটি কিনে নেয়।এসব মাটি বেশিরভাগ ব্রিকফিল্ডে নেয়া হয় বলে জানান তারা।সরেজমিন দেখা যায়,সাতকানিয়া উপজেলার কেওঁচিয়া,ঢেমশা,ছদাহা,ধর্মপুর,বাজালিয়া, নলুয়া,খাগরিয়া,মাদার্শা,সাতকানিয়া সদর,এওচিয়া এলাকার আবাদযোগ্য কৃষি জমিগুলো থেকে রাতের আঁধারে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে প্রতিদিন শত শত ড্যাম্পার ট্রাকে করে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক ইটভাটা থাকায় এখানে মাটির চাহিদাও বেশি।বিশেষজ্ঞরা জানান, জমির ওপরের অংশ বা টপ সয়েল ফসল উৎপাদনের জন্য উপযোগী মাটি।এই টপ সয়েল একবার কেটে নিলে তা পূরণ হতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ বছর।ফলে অনাবাদি হচ্ছে একরের পর একর কৃষিজমি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১১.৩০ হতে রাত ৪ টা পর্যন্ত সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নে তেমুহনী, খাগরিয়া ইউনিয়নের কৃষি জমির টপসয়েল কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।এসময় মোবাইল কোর্টের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়।জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply