মোঃ রবিউল হোসেন খান : খুলনা ব্যুরো >>> নগরীতে আন্ত: জেলা ডাকাত দলের প্রধান সহ দুই জনকে আটক করেছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি চৌকস দল।আজ দুপুর ২ টায় নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন খুলনা মহানগর পুলিশের ডিসি ( উত্তর) মনিরুজ্জামান মিঠু। এ সময় তিনি বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরীতে চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই, রোধে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২২ জানুয়ারী রাত ১০ টায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে,একটি পিকআপে ৬/৭ জনের একদল ডাকাত ডাকাতি করার উদ্দেশ্য মহানগরীতে প্রবেশ করেছে।উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার একটি চৌকস টিম সংঘবদ্ধদের আটকের উদ্দেশ্য ময়ুর ব্রিজের সামনে চেক পোস্ট শুরু করে।এ সময় চেক পোস্টে একটি সন্দেহ ভাজন পিকআপকে সিগনাল দিলে পিকআপটি দ্রুত গতিতে জয়বাংলার মোড় জিরোপয়েন্ট হয়ে রুপসা ব্রিজের দিকে পালাতে থাকে। পুলিশ পিকআপটির পিছু ধাওয়া করলে একপর্যায়ে পিকআপটি রুপসা ব্রিজের টোল প্লাজার বেরিগেড ভেঙে রুপসা থানাধীন কুদির বটতলা পৌছালে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় ডাকাত দলের ২ জন সদস্যকে আটক করতে সমর্থ হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়।আটককৃতদের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহ্নত ৪ টি রামদা,১ টি চাপাতি, ১ টি কাটার, ১ টি লোহার পাইপ,২ টি রড সহ পিকআপটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম ঠিকানা (১) মো: মিজানুর রহমান হরফে মিজান শেখ, সুমন(৩৫), পিতা মৃত: এসকেন শেখ, রামপাল, মোল্লারহাট,বাগেরহাট, অপরজন (২) ইয়াদ আলী (৩২) পিতা, বরকত আলী, ফয়লা,রামপাল,বাগেরহাট বলে জানায়। আটককৃতদের মধ্যে মিজানুর রহমান মিজান আন্তজেলা ডাকাত দলের প্রধান বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং- ২৪, তারিখ – ২৩/০১/২৫।ধারা – ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের রেকর্ডপত্র এবং সিডিএমএস পর্যালোচনা করে মিজান শেখ ও সুমনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় চুরি, ডাকাতি সহ দস্যুতার ৮ টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
Leave a Reply