নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে মেলার নামে অশ্লীল, বেহায়াপনা ও জুয়ার আসরের অনুমতি বন্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছেন বৃহত্তর ঈদগাঁওর সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রদত্ত স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন,বিগত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে পূঁজি করে উপজেলা প্রশাসন বিজয় মেলার নামে দুই দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি মেলা শুরু করে। যাতে দিন রাত নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ হয় এবং ঈদগাঁও বাজারে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছে । যা উঠতি তরুণ তরুণীদের অশ্লীল বেহায়াপনার দিকে ধাবিত করে।যা নিয়ে মেলায় একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে।উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে নির্ধারিত দুই দিনের মেলা শেষ হলেও একটি পক্ষ তা চালু রাখতে মরিয়া হয়ে উঠে। উপজেলা এবং থানা প্রশাসনের কর্তারাও চক্রটির পক্ষ হয়ে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ ভাবে তা চালু রাখার ইন্ধনে জড়িত ছিল বলে তখন সর্বমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি করে ।
এতে করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ওই মেলা একদিন অতিরিক্ত চলমান থাকায় ঈদগাঁও উপজেলা জামায়ত ইসলামীর আমীর মওলানা ছলিম উল্লাহ জিহাদীর নেতৃত্বে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মেলা গেইটে অবস্থান নিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা দ্রুত পৌঁছে মেলা গেইট তালাবদ্ধ করে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করলেও তা অব্যাহত রাখতে উপজেলা প্রশাসনসহ বিশেষ চক্রটি প্রশাসনের উর্ধতন মহলে দৌড়ঝাপ অব্যাহত রাখে এবং তা আপাতত বন্ধ থাকে।
বিগত ২/৩ দিন ধরে এলাকায় প্রচার হয় মেলাটি নাম ও স্থান পরিবর্তন করে পুনরায় শুরু করতে জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েছে। । এ সংবাদে আলেম ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পুনরায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। এমনকি এ ধরনের কোন মেলা পুনরায় শুরু হলে তারা যে কোন মুল্যে প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এ রকম ধর্ম ও জনবিরোধী মেলার অনুমতি বন্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর দায়েরকৃত স্মারক লিপিতে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে স্বাক্ষর করেন বৃহত্তর ঈদগাঁও ওলামা পরিষদ সভাপতি মওলানা সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মওলানা কবির আহমদ, ঈদগাঁও ইমাম সমিতির সভাপতি মওলানা এনামুল হক , ঈদগাঁও বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব হাফেজ জহিরুল ইসলাম ও জালালাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার আমান উল্লাহ ফরাজীসহ অনেকে।
Leave a Reply