৬ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় স্টার জুট মিল ১ নং গেটে স্টার জুট মিলের আহবায়ক আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্রীয় পাটকল রক্ষা আঞ্চলিক কমিটি আহবায়ক ও জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শমশের আলম। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় পাটকল রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থাপনায় চালু করতে হবে, লিজ প্রথা বাতিল সহ পাটকল শ্রমিকদের সকল বকেয়া পাওনা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।
বিজেএমসিতে ২০ থেকে ২৫ জন দালাল আছে তাদের চিহ্নিত করে অপসারন করতে হবে। যে দালালরা রয়েছে তারা বিজেএমসির চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে বলে পাটকল চালু করলে লাভ হবে না। তারা শ্রমিকদের দোষারোপ করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকল নতুন করে চালুর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, আপনারা একটি বাজেট করেন। যে বাজেট টি গ্রহণ করলে সরকারের জন্য যা হবে যত সামান্য টাকা। বিজেএমসির চেয়ারম্যান একজন দেশ প্রেমিক সেনাকর্মকর্তা। একই ভাবে খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী জোনে একেক জন সেনা কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানান।এই তিন সেনা কর্মকর্তাদের পাটকল দেখবালের দায়িত্ব দেওয়া হলে যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের দুর্নীতি দমন করা সম্ভব। আমরা শ্রমিকরা তাদের যে কোন সহযোগীতা ও পাহারা দিতে সর্বদা প্রস্তুত দুর্নীতি দমনের জন্য। আমরা শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।সরকারকে আশ্বস্ত করে দাবি জানান রাষ্ট্রীয় পাটকল রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থাপনায় চালু করলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
পাটকল চালু করলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।বাংলাদেশে পাট পন্যর ব্যাপক বাজার রয়েছে। পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ায় চটের ব্যাগ,বস্তা,সুতা দেশে যে চাহিদা রয়েছে পাটকল চালু করে সে চাহিদা মেটানো সম্ভব। বিজেএমসি থেকে রউফ সাহেবকে অপসারন করতে হবে। বিজেএমসি থেকে দু,পাঁচ জন যে অসাধু কর্মকর্তা রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে অপসারন করতে হবে। তাহলে বিজেএমসি দুর্নিতী মুক্ত হবে।শেষে তিনি সরকারের কাছে পাটকল চালুর উদাত্ত আহবান জানান।
স্টার জুট মিলের সাবেক সিবিএ সভাপতি মাসুম গাজী, তিনি বলেন, ২০২০ সালে পাটকল গুলো সম্পুর্ন অবৈধ ক্ষমতা বলে ভারতের সাথে আতাত করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন সরকার বলেছিল পলিথিন ও সিনথেটিক পন্য বর্জন করা হবে। পাটজাত পন্যগুলো সারা পৃথিবীতে উচ্চ মুল্য বিক্রি হবে, ঠিক তখনই ওয়াল্ড ব্যাংক,আইএমএফ ও ভারতকে খুশি করার জন্য সরকার দেশ বিরোধী, গনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে পাটকল গুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন শ্রমিকের পক্ষে সভা সমাবেশে কেউ কথা বললে মামলা,হামলা,এমনকি গুমের মত ঘটনা ঘটানো হত। এরকম ঘটনা অনেক ঘটেছে। আমরা সর্বশেষ মজুরি কমিশনের জন্য যে আন্দোলন করেছিলাম দাবি আদায়ের জন্য তখন আমার ছোট ভাই বাবু গাজীকে র্যাব কতৃক গুম করা হয়েছিল। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, যুগ্মআহবায়ক অলিয়ার রহমান, আক্তার হোসেন, উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম গিয়াস,গনসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলার সভাপতি মুনির চৌধুরী সোহেল,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আল আমিন শেখ,সামন,গাফফার তরফদার, শরিফুল ইসলাম, পিপলু, মুসা প্রমুখ।+
মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা প্রতিনিধি,
Leave a Reply