আজ ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে জনমুক্তির জোন আহ্বায়ক কমিটি গঠিত


জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জন-চৈতন্য বা গণ-উদ্দীপনাকে রাষ্ট্র ও সমাজে স্থায়ী ভিত দিতে চট্টগ্রামে জনমুক্তির জোন আহ্বায়ক কমিঠি গঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক হলেন সৌরভ মাহমুদ, যুগ্ম আহব্বায়ক আবু বেলাল, সদস সচিব খাঁন মোহাম্মদ মোস্তফা, যুগ্ম সদস্য সচিব লিখন দত্ত, মুখপাত্র মিজবাহ রবিন ও কোষাধ্যক্ষ উম্মে কুলসুম তারিন। পাশাপাশি অন্যন্য সদস্যরা হলেন রকিবুল হাসান রাকিব, খোবাইব হামদান, মো: জোবাইর সামির, সুলাইম মাহমুদ, আজগর হোসাইন জিসান, আবদুল আউয়াল ইমাদ, আব্দুল মুকিম, আসিফ আনাস, আমজাদ হোসেন আজাদ, শিশির আজাদ চৌধুরী, হোসাইন ইলিয়াস, আবিদ হোসেন তামিম, এরফাত আলম শ্রাবণ, মো: এমরান উল্লাহ, মোহাম্মদ জায়েদ, মুহাম্মদ আসিফ উদ্দিন, সাইফুর রুদ্র, মো: এমরান উল্লাহ, চৌধুরী সাকিব আরিফ, জায়েদ হাসান আশিক, জিবরান সিদ্দিকী, আবদুল্লাহ জাওয়ারী, মোহাম্মদ ইব্রাহিম নিহাল, খাঁন আয়্যুব ও মারুফ হোসাইন।

জনমুক্তি সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামোতে বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী প্রবণতা দূরীকরণে এবং এর বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৯ দফা নিয়ে নির্ধারণ করেছে। কর্মসূচিসমূহ হলো: ১. সামাজিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ফ্যাসিজম চিহ্নিত করতে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মতাত্ত্বিক এবং দার্শনিকভাবে কাজ করা। আর যেকোনো প্রকার রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিজম রুখতে গণপরিসরে যথাযথ ভূমিকা পালন করা। ২. যেকোনো মারণ রাজনীতির (বিচারবহির্ভূত খুন, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে কিংবা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারাই হোক, অথবা সীমান্তে; অথবা বিরোধী শিবিরে;) বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। বাহাসের পক্ষে, কিন্তু যেকোনো প্রকার দল-মতের ট্যাগ দিয়ে প্রতিপক্ষকে ভ্যানিশ কিংবা নিধনযোগ্য করে ফেলার ট্যাগের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। ৩. সাংস্কৃতিক লড়াই-এর অংশ হিসেবে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিমালা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া; সংস্কার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানানো। শিল্প-সংস্কৃতির সাথে যুক্ত সকলের অধিকার ও যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিতে কাজ করা। ৪. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা (প্রয়োজনীয় উদযাপন সমেত) ধারণ এবং কোনোভাবেই এই স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত না হয়ে পড়ার দিকটি নিশ্চিত করা। প্রচলিত আইনের যে সকল ধারা এই স্বাধীনতাবিরোধী, সে সকল আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য, সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গণস্বর তৈরিতে কাজ করা। ৫. মফস্বল থেকে রাজধানী ঢাকার সাংস্কৃতিক দূরত্ব কমিয়ে আনা। গুরুত্ব পাবে ব্যক্তি নয় স্বর, ভাষা। গল্প, কবিতা, গানে, নাটকে তথা সাংস্কৃতিকভাবে জুলাই অভ্যুত্থানকে স্মরনীয় করে রাখা। ৬. প্রতিটা জেলা-উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতিফলক স্থাপন এবং বিশদ স্মৃতিচারণ সংরক্ষণের দাবি আদায়ে কাজ করা। পাশাপাশি এই সংশ্লিষ্ট প্রতিটা সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যথাসাধ্য সহযোগিতা প্রদান। ৭. জুলাই অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট গণহত্যায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে যেসব সংগঠন কাজ করছে তাদের সাথে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা। ৮. সংবিধানে গণ-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সংবিধান সংস্কার নিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলাপের প্রয়োজনীয়তা থেকে কাজ করা। রাষ্ট্রগঠনের এই সুযোগ যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করতে কাজ করা। ৯. কীভাবে একটা ভাষায় দরদ আনা যায়, প্রতিপক্ষের সাথে আলোচনার সংস্কৃতিতে ঘৃণার জায়গায় দরদকে রিপ্লেস করে ভিন্ন মত হজমের সংস্কৃতি চালু করা যায় এ নিয়ে ব্যবহারিক রিসার্চ চালিয়ে যাওয়া। এছাড়া ট্রুথ এন্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের দাবি জানানো।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর