চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির করার অভিযোগে বেধড়ক মারধর করে মোঃ ওসমান (২০) নামে একজনকে খুনের ঘটনা ঘটেছে, এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ।সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার ৭ নং সরল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মঞ্জুর বর বাড়ীএলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোঃ ওসমান (২০) ওই এলাকার মোঃ হারুন এর পুত্র। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলোঃ নিহতের বড় ভাই মোঃ রিদওয়ানুল হক (মানিক), অপরজন একই এলাকার মৃত হারুন রশীদের পুত্র মোঃ মাহমুদুল্লাহ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ পূর্বে মোঃ ওসমান তার চাচা শহিদুল ইসলামের বসতঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি করে নিয়ে যায়, পরে তাকে চাচাসহ অন্যান্যরা ধরে জিজ্ঞেসা করার একপর্যায়ে চোরাইকৃত স্বর্ণ ও ৪১ হাজার টাকার মধ ১১,০০০ টাকা আদায় করে। বাকী ৩০,০০০ হাজার টাকার জন্য উপস্থিত ৫/৬ জন তাকে বেধড়ক মারধর করার একপর্যায়ে ভাইকে বাঁচাতে তার বড় ভাই ওসমানকে চড় তাপ্পর দিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও উপস্থিত লোকজন ওসমানকে ভাইয়ের হাতে না দিয়ে উল্টো আবার মারধর করার এক পর্যায়ে ওসমান গুরুতর আহত হয়, পরে তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকে জানান, মূলত ওসমান নিহত হয়েছে তার সহযোগী চোর চক্রের হাতে। ওসমান যাঁদের সাথে মিলেমিশে চুরি করত। চাচার ঘরে ধরা পড়ার পর সে অন্য সহযোগীদের নাম বলে ফেলায় তার কাল হল। ঐ চোর চক্রের সদস্যরা যখন এলোমেলো প্রহার করছিল ওসমানের ভাই মানিক সহ্য করতে না পেরে ওদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে সেও চড় তাপ্পড় মারছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল বেধড়ক পিটুনি থেকে তার ভাইকে রক্ষা করা, উত্তেজিত জনতার রাগ প্রশমিত করা।
আমার ছেলেকে কে বা কারা মারধর করছে সেটা জানিনা, মারধর করে রাতের আঁধারে বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফেলে যায়, দেখতে পেয়ে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমি আর আমার ছেলে মোঃ মানিকসহ হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহতের মা রাবেয়া আরও বলেন, আমার একজন ছেলেকে মেরে ফেলেছে আরেক ছেলে মোঃ মানিককে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোঃসরওয়ার আলম চৌধুরী, বাঁশখালী প্রতিনিধি,
Leave a Reply