কাইছার হামিদ
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিয়োগের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মারুফ হোসাইন এর সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করেন। ওই প্রজ্ঞাপনে তারেক আব্দুল্লাহ্ সহ আরো চারজনকে প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর ৭(১) অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্য উপরোক্ত ব্যক্তিদেরকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের প্রত্যেকের নামের বিপরীতে উল্লেখকৃত পদে (বর্ণিত পদমর্যাদা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ) নিয়োগ প্রদান করা হলো।
অ্যাডভোকেট তারেক আব্দুল্লাহ্ চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণ জলদি রংগিয়াঘোনা গ্রামের শিক্ষাবিদ প্রফেসর এ. কে. এম জাকারিয়া এর বড় ছেলে।
তিনি বাঁশখালীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রংগিয়াঘোনা মনছুরিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসা হতে ২০০৬ সালে দাখিল পরিক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে সর্বপ্রথম জিপিএ-৫ অর্জন করেন। একই প্রতিষ্ঠান হতে ২০০৮ সালে আলিম পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়েও জিপিএ-৫ অর্জন করেন। পরবর্তী উচ্চশিক্ষা লাভে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। উক্ত বিদ্যাপীট হতে ২০১৩ সালে কৃতিত্বের সাথে এলএলবি অনার্স এবং ২০১৪ সালে এলএলএম (মাষ্টার্স) ডিগ্রী লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন শেষে তাঁর বাবার ইচ্ছানুসারে এবং পারিবারিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায়, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক’র চেম্বারে যোগ দেন। ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়ে অ্যাডভোকেটশীপ লাভ করেন। ২০২২ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে এনরোল্ড হয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।
Leave a Reply