আজ ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফটিকছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়  শিক্ষকদের মানববন্ধন


আব্দুল কাদের চৌধুরী নিজস্ব প্রতিবেদক >>>
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড আদায় ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচী সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উক্ত মানববন্ধন সফল করার লক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার থেকে আব্দুল্লাহপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকমন্ডলী শনিবার সকালে ফটিকছড়ি বাসস্ট্যান্ডে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এ মানববন্ধন কর্মসূচী শুরু হয়। সহকারী শিক্ষক জনাব পারভেজ মোশারফ ও জনাব বেলাল উদ্দিন স্যারের সঞ্চালনায় সহকারী শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন জনাব কাউসার উদ্দিন, জনাব, নাসির উদ্দিন,  জনাব সোলতানা আক্তার,জনাব হোমায়রা আক্তার, জনাব দিলসাত জাহান, জনাব পারভেজ মোশারফ, জনাব রক্তি বড়ুয়া, জনাব সরোয়ার আলম,জনাব মামুন উদ্দিন, জনাব নুরুল আবছার, জনাব সাজেদুল করিম,জনাব অনুপম ভট্টাচার্য,  জনাব মেজবাহ উদ্দিন, জনাব রোকসানা আক্তার, জনাব শফিউল আজম , জনাব জি এম তৌহিদ, জনাব শাহজাহান স্যার, জনাব আজিম উদ্দিন  ও জনাব রহিমা আক্তার।বক্তারা ১০ম গ্রেডের যৌক্তিকতা দিয়ে বলেন বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদার অবস্থান ৪৫ তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সপ্তম।বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রারম্ভিক সম্মানি ১৭৫০০টাকা আর প্রতিবেশি ভারতে ৩৫০০০ রূপি।
স্নাতক ২য় বিভাগ নিয়োগ যোগ্যতায় বিসিএস ক্যাডার থেকে শুরু করে অন্য সবক্ষেত্রে বেতন গ্রেড ১ম থেকে ১০ম।কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো শিক্ষকদের নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক ২য় বিভাগ কিন্তু  বেতন গ্রেড ১৩ তম, ৩য় শ্রেণির কর্মচারী।এই লজ্জা কার?সমগ্র বাংলাদেশে ৬৫,৫৬৭ স্কুলের৩,৮৪,৯৬১ জন সহকারী শিক্ষক এখন ১০ম গ্রেড আদায়ের লক্ষ্যে একই প্লাটফর্মে এসেছে। সম্মানিত কনসালটেন্ট কমিটি সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড সুপারিশ না করলে, কমিটি কমিটি খেলা চলতে থাকলে কিংবা মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দিকে সুদৃষ্টি না দিলে আগামীতে বাংলাদেশের ৩,৮৪,৯৬১ জন সহকারী শিক্ষক কর্মবিরতি থেকে শুরু করে নিজেদের অধিকার ১০ম গ্রেড আদায় ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লং মার্চ টু ঢাকা কিংবা সচিবালয় ঘেরাও সহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
মাতা-পিতার পর শিক্ষকের স্থান।
কিন্তু যাদেরকে বর্ণ থেকে শুরু করে,নাম , রিডিং, যোগ, বিয়োগ গুণ ভাগ শিখিয়েছেন শিক্ষকরা।যাদেরকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হতে হাতেখড়ি দিয়েছেন যে শিক্ষকরা তারাই নানা যোগ বিয়োগ করে এক কলমের খোঁচায় এখনোও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী করে রেখেছে তারা।এসব উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য দুঃখ ভারাক্রান্ত অশ্রুসজল নয়নে শিক্ষক কেনো রাস্তায়
এই লজ্জা কার?জবাব চাই, দিতে হবে।
শিক্ষক কেনো তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী
জবাব চাই দিতে হবে দফা এক, দাবী এক
১০ম গ্রেড, ১০ম গ্রেড দাবী মোদের একটাই
১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন চাই।এভাবে স্লোগানে স্লোগানে আগামীর যেকোন কঠোর কর্মসূচীর প্রস্তুতি নিতে এবং প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে সকলের সিনিয়র সহকর্মী সহকারী শিক্ষক জনাব রহিমা আক্তার মানববন্ধন কর্মসূচী সমাপ্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর