আব্দুল্লাহ্ আল মারুফ
দীর্ঘদিন ধরে বেদখলে থাকা জায়গা উদ্ধার করতে তৎপরতা শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবার তাদের বেদখল জায়গা উদ্ধারে তৎপর হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সিডিএ’র এসব জায়গা ভূমিদস্যুদের হাতে বেদখল হয়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব জায়গা উদ্ধারে সিডিএ’র তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। ফলে অবৈধ দখলদাররা সিডিএ’র এসব জায়গা নিজেদের দখলে নিয়ে বাণিজ্য করে যাচ্ছে। তাদের থেকে সিডিএ’র অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুবিধা নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সিডিএ তাদের মালিকানাধীন জায়গাগুলির ডাটাবেজ তৈরির জন্য সম্প্রতি সাত সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে। এ কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সিডিএ’র সকল জায়গার একটি ডাটাবেজ প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। ডাটাবেজ তৈরির কমিটিতে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্কে আহ্বায়ক এবং নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে-তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-২ এ এম এম হাবিবুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-১ মোহাং মনজুর হাসান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামীম, সিনিয়র স্টেট অফিসার সৈয়দ মো. আবু হেনা মঞ্জু, মূল্যায়ক কর্মকর্তা আলমগীর খান।
৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার কমিটির সদস্যদের নিয়ে সিডিএ কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত সভা হয়েছে। নিজেদের জায়গার পরিমাণ এবং এরমধ্যে নিজেদের দখলে কী পরিমাণ জায়গা রয়েছে, কি পরিমান জায়গা বেদখল আছে, মূলত তা জানতে সিডিএ এই ডাটাবেজ তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
১৭ সেপ্টেম্বর সিডিএ’র সচিব রবীন্দ্র চাকমা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়-চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন জমি সমূহের একটি ডাটাবেজ তৈরির জন্য চেয়ারম্যানের নির্দেশনার আলোকে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নির্ধারিত ফরম্যাট অনুসরণ পূর্বক সিডিএ’র মালিকানাধীন সমস্ত জমি সমূহের পরিমাণ, অবস্থান, মামলা (যদি থাকে) ইত্যাদি তথ্য সম্বলিত একটি ডাটাবেজ আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রস্তুত করে প্রতিবেদন সিডিএ চেয়ারম্যান বরাবর উপস্থাপন করবেন। সিডিএ’র সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী/সহকারী প্রকৌশলী/উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার/বি.আইসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।
জানা যায়, সিডিএ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত নগরীতে এবং বাইরে সিডিএ কিছু সড়ক নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ করেছে। সেসব এলাকায় সড়কের পাশে সিডিএ’র আরও কিছু জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিডিএ’র আরও কিছু পকেট ল্যান্ড (খালি জায়গা) রয়েছে। এছাড়া কিছু জায়গা সিডিএ লিজ দিয়েছে, কিছু মামলা জটিলতা রয়েছে এবং আর কিছু বেদখল হয়ে আছে। খুব কম সংখ্যক জায়গা সিডিএ’র দখলে রয়েছে। তবে সিডিএ’র জায়গায় পরিমাণ কত তা বলতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, ‘মূলত দুটি কারণে সিডিএ’র জায়গা নিয়ে ডাটাবেজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রথমত সিডিএ’র যেসব জায়গা বেদখল রয়েছে, সেগুলিতে কোন আইনগত ঝামেলা থাকলে তা দ্রুত নিরসন করে নিজেদের দখলে নিয়ে কোন জায়গা নিয়ে সেখানে বাচ্ছাদের জন্য সবুজ পার্ক ও ওয়াকওয়ে নির্মান করে বিনোদনের ব্যবস্থা করব। তবে কোন জায়গায় কোন স্থাপনা নির্মান করা হবেনা বলেও জানান।
Leave a Reply