আজ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৬, এসিল্যান্ডের গাড়িতে আগুন


আফসানা জান্নাত মিম কুমিল্লা >>>কুমিল্লার চান্দিনায় আন্দোলন চলাকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন এলাকায় এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।এতে ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ২৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সোয়া একটার দিকে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে কুমিল্লার চান্দিনায় অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে আন্দোলনকারীরা চলে যাওয়ার পর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার (এসিল্যান্ড) গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ কয়েকজন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শেষে এই ঘটনা ঘটে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আজ সকালে কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টা থেকেই কুমিল্লা জিলা স্কুলের গেটের সামনে জড়ো হতে থাকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা। পরে এক পর্যায়ে স্কুলের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তারা। এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সকল শিক্ষার্থী হত্যা ও নিপীড়নের বিচার দাবি করে স্লোগান দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বিক্ষোভ মিছিলে কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা পূবালী চত্বরে এসে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করে।

কুমিল্লা জিলা স্কুল ও পূবালী চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা বিচ্ছিন্নভাবে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স এলাকায় গিয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সেখানে আওয়ামী লীগ যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা। ধাওয়া পাল্টা ধরার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) পরিচালক শেখ ফজলের রাব্বি বলেন, ‘এ পর্যন্ত কুমেক হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছয় শিক্ষার্থী এসেছে। তবে তাদের অবস্থা শংকামুক্ত।’

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজুর মোর্শেদ মহাসড়কে এসিল্যান্ডের গাড়িতে আগুন দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) সৌম্য সরকার বলেন, ‘আমরা গাড়িতে করে চলে যাচ্ছিলাম। এসময় পেছন থেকে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তখন আমরা তারাহুড়া করে গাড়ি থেকে নেমে রক্ষা পাই। এসময় গাড়িতে তিন কর্মচারী ছিল। অন্য একটি গাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন, তিনিও গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে নিরাপদে আশ্রয়ে যান


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর