আজ ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বায়েজিদে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


নিউজ ডেস্ক >>> চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন এরশাদনগর এলাকায় মোঃ আলমের বাড়িতে ভাংচুর, সম্পদ লুণ্ঠন, হত্যার প্রচেষ্টা ও পৈশাচিক সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কয়েকটি ভুক্তভোগী পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম একাডেমীর হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী আলম আরা বেগম রুমা, তার স্বামী মোঃ আলম এবং আরেক ভুক্তভোগী খালেদা বেগম। গত ১১ জুলাই বাড়ির নিরাপত্তার জন্য গেইট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দা, ছুড়ি, লোহা ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলাকারী ১০ আসামী হলেন, মোঃ সুমন (৩৪), মোছাম্মৎ হাজেরা (৩৮), মোঃ শাহজাহান (৩৫), মোঃ মাসুদ রানা বাহার, মোঃ শহীদ (২৭), মোঃ খোরশেদ (২৭), মোঃ বাবু (২৪), মোঃ নাছির (৪২), নাছিমা (৩২) ও মনোয়ারা (৪৫)। দশ আসামীর প্রত্যেকেই বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার বাসিন্দা। আলম আরা বেগম রুমা বলেন, ২০১৩ সালে ডিএসকে নামের এক এনজিও সংস্থা আমাদের তিন পরিবারকে একটি টয়লেট উপহার দেয়। তখন আমার বাড়ির পাশের মসজিদে কোন টয়লেট না থাকায় মসজিদ কর্তৃপক্ষকে টয়লেট নির্মাণ না করা পর্যন্ত তা ব্যবহার করতে দেই। ২০০৮ সালে মসজিদের নিজস্ব টয়লেট হলে তারা এর ব্যবহার বন্ধ করে তালা মেরে দেয় এবং দখল ছাড়তে অনীহা প্রকাশ করে। দখল ছাড়ার শর্তে এক পর্যায়ে তারা আমার কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, তারা মসজিদ ও ধর্মকে ব্যবহার করে প্রাণ প্রিয় মুসল্লির আবেগকে কাজে লাগিয়ে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার করে। প্রকৃত পক্ষে মসজিদের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই, থাকার কথাও নয়। কারণ মসজিদ একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠান। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ১১ জুলাই তারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুর করে বাড়ির নবাগত নির্মিত গেইটটি চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি নিজেসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আমার স্বামী মোঃ আলম ও আমার ভাইয়ের স্ত্রী হাসিনা আক্তার। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী আমাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা না নেওয়ায় আমরা আদালতে মামলা করি।

তিনি আরও বলেন, আসামীরা আমি ও আমার পরিবারকে ভাড়া করা লোকজন দিয়ে নানা সময়ে গণস্বাক্ষরের নামে হয়রানি করলে আমি মাননীয় পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ তদন্ত করতে বায়েজিদ বোস্তামী থানাকে দায়িত্ব দিলে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ বাদীনির স্বাক্ষাত ও বক্তব্য ছাড়াই নিজের মনগড়া প্রতিবেদন জমা দেন।ভুক্তভোগী আলম বলেন, আমার বাড়িতে পরিকল্পিত হামলা হয়েছে, এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যুর খুব কাছ থেকে আমরা ফিরে এসেছি। আমরা এর বিচার চাই। আরেক ভুক্তভোগী খালেদা আক্তার বলেন, এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণ কিংবা মেরামত, এর সকল উপকরণ ক্রয় ও নির্মাণের কক্ট্রাক নিতে জোরপূর্বক বাধ্য করে হানিফ, আনোয়ার, শাহজাহান ও নাছির সিন্ডিকেট।এর ধারাবাহিকতায় ঘর নির্মাণের কথা বলে তারা আমার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয়। পরে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ঘর অথবা টাকা ফেরত দেয়নি। পরে আমি নিজে বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করি। যা বর্তমানে বিচারাধীন। মামলা নং-১১/২৫০।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর