অনলাইন ডেস্কঃ আষাঢ় মাসের ২৫ তারিখ চলছে আজ। এবার আষাঢ়ের শুরু থেকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ব্যাপক ঝুঁকি ও ক্ষতি প্রত্যক্ষণ করেছে বাংলাদেশ। ভারি বর্ষণের কারণে ইতোমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চল, সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, যা সম্প্রতি কোনো কোনো স্থানে উন্নত হচ্ছে। তবে আষাঢ়ের অন্তিম দাপটের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সংস্থাটি বলছে, আগামি ১২ জুলাই (২৮ আষাঢ়) থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। পূর্বাভাসে আরো জানানো হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যমতে, আষাঢ়ের শেষ সময়ে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির পাশাপাশি সারাদেশে তাপমাত্রাও হ্রাস পাবে।
আরও পড়ুন আবহাওয়ার মৌসুম পাল্টাচ্ছে হজে, ২০২৬ থেকে বসন্তে ও ২০৩৫ শীতে
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আর গতকাল ও আজকের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৮ ও ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে রাজশাহী ও বান্দরবানে।
আজ অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নাম্বার সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply