আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

সমুদ্র বাণিজ্যে খাতভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের পরামর্শ সিসিসিআই সভাপতির


অনলাইন ডেস্কঃ সমুদ্র বাণিজ্যে খাতভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন
দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি ওমর হাজ্জাজ। সম্প্রতি জাপানী প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ পরামর্শ দেন।

ওমর হাজ্জাজ বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে রয়েছে প্রায় দীর্ঘ ২৫০ কিমি. সমুদ্র উপকূল। এতে রয়েছে বন্দর, জাহাজ ভাঙা ও জাহাজনির্মাণ শিল্প এবং মৎস্য আহরণ জোন। এছাড়া রয়েছে উপকূলবর্তী বিভিন্ন ভারী শিল্প কারখানা। তাই জাপানি গবেষণা দল সরকারকে এসব সম্ভাবনা গতিশীল করতে খাতভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের সুপারিশ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে সম্প্রতি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল চালু করা হয়েছে। এছাড়া বন্দরকে আরো সম্প্রসারণ এবং গতিশীল করতে বে-টার্মিনাল প্রকল্পে ৪টি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরো অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী বে-টার্মিনালে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের সমুদ্রভিত্তিক বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক লজিস্টিক্স হাবে পরিণত হবে চট্টগ্রাম।

আরও পড়ুন জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু: ওমর হাজ্জাজ

কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে জাপানি সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই গভীর সমুদ্রবন্দর দেশের গেইম চেঞ্জারে পরিণত হবে। কারণ এখানে ভিড়তে পারবে বড় বড় মাদার ভেসেল যা আমাদের আন্তর্জাতিক আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বহুগুণ বাড়াবে। এই বন্দরকে আরো গতিশীল করতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন অঞ্চলে রপ্তানিভিত্তিক শিল্পাঞ্চল ও অফডক স্থাপনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের বে অব বেঙ্গলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা যাচাইয়ে গবেষণার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টর স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে জাপানি গবেষণা প্রতিনিধিদল। এর অংশ হিসাবে সিসিসিআই পরিচালক মণ্ডলীর সাথে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে মতবিনিময় করেছেন তারা। গবেষণার উদ্দেশ্য তুলে ধরে আইডিই-জেটরো রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক সো উমেজাকি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য গবেষণা করছে জেটরো। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো, মিয়ানমার এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলগুলোর সাথে কানেক্টিভিটির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাথে। তাই চট্টগ্রামে দীর্ঘ বে অব বেঙ্গল উপকূলে রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। কিন্তু ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা এবং বড় বড় জাহাজ এ অঞ্চলে না আসার কারণে পিছিয়ে পড়ছে এই সম্ভাবনা। তাই ভৌগোলিক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে বে অব বেঙ্গল অঞ্চলে মেরিটাইম বাণিজ্য সম্ভাবনা আরো বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে গবেষণা করছে জাপান।

এ সময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন এবং ওয়াহিদ আলম ও মো. বদরুল আলম বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যদের মধ্যে জাপানের জিআরআইপিএস (গ্রিপস) প্রফেসর তোশিহিরো কুদো, চেম্বার পরিচালক এ কে এম আক্তার হোসেন, মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) ও মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র: সুপ্রভাত বাংলাদেশ


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর