আজ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

বাজারে মিলছে অনেক পুষ্ঠিগুণে ভরপুর জাম


অনলাইন ডেস্কঃ বাজারে আসতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালের উপকারী ফল জাম। ফলটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ভিটামিন সি, থিয়ামিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ, নিয়াসিনসহ আরও অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এই মৌসুমে জাম খেতে পারেন নিয়মিত। ওয়েবএমডি ওয়েবসাইট জানাচ্ছে জাম খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

১। উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম থাকে জামে।পটাশিয়াম হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি পটাশিয়াম স্ট্রোক এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধেও সহায়ক।

২। সিগারেটের ধোঁয়ায় ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে যা ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। একটি গবেষণা বলছে, এই ক্ষতি অনেকাংশে পুষিয়ে নিতে সাহায্য করে জাম।

৩। ফলটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যাল কোষগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে। এতে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। এছাড়া জাম থেকে সায়ানিডিন নামক এক ধরনের নির্যাস পাওয়া যায় যা কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪। জামে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন কাঁঠাল কিনে ঠকতে না চাইলে জেনে নিন কয়েকটি সহজ উপায়

৫। প্রাকৃতিকভাবে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে নিয়মিত জাম খেলে। ফলটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে।

৬। জামে থাকা জিঙ্ক এবং ভিটামিন সি কাশিসহ অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি হাঁপানির উপসর্গের প্রতিকারেও উপকারী।

৭। ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে নিয়মিত জাম খেলে।

৮। দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী এই ফল। এতে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে যা সুস্থ দাঁতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৯। পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ জাম প্রদাহ কমাতে এবং কোষকে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

১০। জামে রয়েছে আয়রন। ফলে নিয়মিত জাম খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে এবং রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর হয়।

তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর