অনলাইন ডেস্কঃ শহীদ রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি প্রাণ হারান। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ১৫ দিনের কর্মসূচি পালন করছে।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে জিয়াউর রহমান যখন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, বিশ্বে দ্রুত অগ্রসরমান দেশ হিসেবে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ঘাতকদের বুলেটে প্রাণ হারান বাংলাদেশের ইতিহাসের ক্ষণজন্মা এই রাষ্ট্রনায়ক।
আরও পড়ুন ১৫ দিনের কর্মসূচি দিলো বিএনপি
প্রতি বছর জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে পালন করা হলেও দুই বছর কারাগারে এবং চার বছর শর্তসাপেক্ষে জামিনে থাকায় মোট ৬ বছর তার অনুপস্থিতিতে দিনটি পালন করছেন নেতাকর্মীরা। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো ১৫ দিনের কর্মসূচি পালন করছে। এর মধ্যে রয়েছেÑ আলোচনা সভা, পোস্টার প্রকাশ ও কালোব্যাজ ধারণ, কালোপতাকা উত্তোলন, সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, জিয়ার কবরে ফুল দেওয়া ও ফাতেহা পাঠ, দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ।
গত ২৮ মে থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি ১১ জুন পর্যন্ত চলবে। এর অংশ হিসেবে বুধবার রমনাস্থ ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের সিনিয়র নেতা ও বিশিষ্টজনরা সভায় বক্তব্য রাখেন।
তথ্যসূত্র: যায় যায় দিন
Leave a Reply