২৮মে ২০২৪ কথাসাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য প্রফেসর আসহাব উদ্দীন আহমদ এর ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯১৪ সালে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীর সাধনপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুন্সি সফর আলী চৌধুরী, মাতার নাম নাছিমা খাতুন। আসহাব উদ্দীন আহমদ ১৯৩৯ খ্রি. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্য এম.এ. ডিগ্রি লাভ করার পর চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম ইসলামিক ইন্টারমেডিয়াট কলেজ (মহসিন কলেজ), ফেনী কলেজ, লাকসাম নবাব ফয়েজুন্নেছা কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যাপনা করেন। কুমিল্লায় তিনি সাহিত্য মজলিশ গঠন পূর্ববঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন, কলেজ শিক্ষকদের মুখপত্র ‘দি টিচার’ পত্রিকা প্রকাশ ও কুমিল্লায় ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদান করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে যুক্তফ্রন্ট থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগের বিভক্তি এলে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলনে তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাঁশখালীতে তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়। তিনি আজীবন সাম্যবাদী ধারার রাজনীতি ও লেখালেখি করেন। আসহাব উদ্দীন আহমদ সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪২), চট্টগ্রাম সিটি কলেজ (১৯৫৪), বাঁশখালী কলেজ (১৯৬৭)সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তাঁর লেখা ধার, উদ্ধার, বাদলের ধারা ঝরে ঝর ঝর, সের এক আনা মাত্র, বন্দে ভোটারাম, দামশাসন দেশশাসন, ঘুষ, উজান স্রোতে জীবনের ভেলা, বোকা মিয়ার ইতিকথা, সেরা রম্যরচনা, আসহাব উদ্দীন আহমদ রচনা সমগ্র (৩-খন্ড) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তাঁর স্মরণে বাঁশখালী (ডিগ্রি) কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
Leave a Reply