আজ ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

ঝুঁকিপূর্ণ ইভিএমের ৫ উপজেলা


অনলাইন ডেস্কঃ ৮ মে চট্টগ্রাম বিভাগের ৩০টি উপজেলায় ভোট হবে। তন্মধ্যে পাঁচটিতে ভোট হবে ইভিএমে (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে)। এ কারণে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যেহেতু এ ধরনের ভোটে জনগণ অভ্যস্ত নয় এবং রাজনৈতিক দলগুলোরও এ বিষয়ে আস্থার ঘাটতি আছে; তাই যেসব উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে সেগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। যদিও ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি। এবার প্রথম ধাপে চট্টগ্রামে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ; কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর ও মহেশখালী; এ ৫ উপজেলায় ইভিএমে ভোট নেবে ইসি।

ইসির ব্যাপক কর্মসূচি
ইভিএমের ব্যবহার সম্পর্কে ভোটগ্রহীতা এবং ভোটারদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম ইতোমধ্যে রিটার্নিং অফিসারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের মাধ্যমে যন্ত্রটির ব্যবহার পদ্ধতি প্রার্থী এবং ভোটারদের জানানো হচ্ছে। ইভিএম ব্যবহার যেহেতু একটি কারিগরি বিষয়, তাই এর ব্যবহার, কার্যকারিতা এবং সফলতা সম্পর্কে সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট এবং ভোটারদের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করছে ইসি।

ইভিএমে যেভাবে ভোট দিতে হবে
ভোটারগণ ভোট প্রদানের জন্য স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার অথবা আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে নিজেকে ভোটার শনাক্ত করাতে পারবেন। এরপর নির্দিষ্ট কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ভোট কক্ষে ভোটার ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে বৈধ ভোটারগণ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের মাধ্যমে ভোটিং মেশিনের গোপন কক্ষে রক্ষিত ইলেকট্রনিক ব্যালট ইউনিটে ব্যালট সংগ্রহ করবেন। ব্যালট পাওয়ার পর ভোটারগণ তার পছন্দের প্রার্থী এবং প্রতীক দেখে ডান দিকের বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন এবং ঐ ব্যালট ইউনিটের সবুজ রঙের কনফার্ম বোতাম চেপে ভোট সম্পন্ন করবেন।

আরও পড়ুন ষষ্ঠ নির্বাচন: চট্টগ্রাম বিভাগে তৃতীয় ২৫ চতুর্থ ৯ পঞ্চম ধাপে ৮ উপজেলায়

রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর অধিকাংশ ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করে। দেশগুলোর প্রায় সবাই রাজনৈতিকভাবে সহনশীল, ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন যে সময় ও বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ইভিএমে ভোট নিতে যাচ্ছে সেটি মোটেও সময়োপযোগী নয়। বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার পরিবেশ নেই। নির্বাচনব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মানুষের আস্থার ঘাটতি স্পষ্ট। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিও মানুষের চরম অবিশ্বাস দৃশ্যমান।’

ইভিএমের একটি বড় দুর্বলতা হলো এটি নিরীক্ষণ যোগ্য নয়। যদি কোনো কারণে ভোট নিয়ে সংশয় তৈরি হয় ইভিএমে এটি পুনর্গণনা বা নিরীক্ষা করার সুযোগ নেই। ফলে ইভিএমের নির্ভরতা ও নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

চট্টগ্রামে ৮ মে আরো যে ২৫ উপজেলায় ভোট হবে
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল; কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, নাঙ্গলকোট ও মেঘনা; ফেনী জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর, চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; খাগড়াছড়ি জেলার মনিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা; রাঙ্গামাটি জেলার সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবান জেলা সদর ও আলীকদম।

তথ্যসূত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর