মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশঃ
চন্দনাইশে চলতি মাসের শুরু থেকে ২৮ এপ্রিল দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এক হাজার ৪১০ জন নাগরিক পেনশন স্কিমের আওতায় এসেছেন। যারা অ্যাকাউন্ট ওপেন করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন। প্রথমবারের মত চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিমে মানুষকে যুক্ত করতে এবং পেনশন স্কিম সফল করতে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র কার্যালয়, দুইটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়ন এবং সোনালি ব্যাংকে পৃথক পৃথক বুথ চালু করা হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল শ্রেণী পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই স্কিমে অংশ নিতে পারবেন উল্লেখ করে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম বলেন, “মানুষের মনে যেসব প্রশ্ন বা সংশয় আছে তা দূর করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ যখন বুঝবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে তাঁর অর্থ সুরক্ষিত, তখন কোন সমস্যা হবে না, তখন মানুষের আগ্রহ আরো বাড়বে।”
পেনশন স্কিমে জমা দেয়া অর্থ সুরক্ষিত থাকবে কী-না, মেয়াদ শেষে টাকা তুলতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে কী-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পেনশন কর্তৃপক্ষ সবসময়ই বলে এসেছে এ নিয়ে শঙ্কা থাকার কোন কারণ নেই, কারণ সরকার নিজে এর গ্যারান্টি দিচ্ছে। এই পেনশন স্কিম গ্রহণ করার ফলে প্রত্যেক নাগরিক দশ বছর পর থেকে মাসিক চাঁদা হারে আমৃত্যু পেনশন পাবেন। মারা গেলে নমিনি পেনশন পাবেন পনের বছর। তাছাড়া, পেনশন স্কিম চালু হওয়ার দুই বছর পর থেকে জমাকৃত টাকার পঞ্চাশ শতাংশ ঋণ সুবিধা পাবেন।”
Leave a Reply