এইচ.এম.সাইফুদ্দীন
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, দেশে মারাঠা বর্গী পড়েছে। আওয়ামী মারাঠা বর্গীরা আজ দেশ লুটেপুটে খাচ্ছে। মারাঠা বর্গীরা যেভাবে এ অঞ্চলের সম্পদ লুট করতো, মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাতো ঠিক একই কাজ আজ আওয়ামী লীগ করছে। তারা এদেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করছে। শুনে অবাক হবেন আওয়ামী লীগের সাবেক এক মন্ত্রীর লণ্ডনে আড়াইশ বাড়ির মালিক। বাংলাদেশ বিলাস বহুল অসংখ্য বাড়ি গাড়ি দেখবেন এসবের মালিক আওয়ামী লুটেরা গোষ্ঠী। জনগনের সম্পদ লুট করে একদিকে আওয়ামী লুটেরা গোষ্ঠী হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছেন আর অন্য দিকে সাধারণ মানুষ আজ অর্থাভাবে কিডনি বিক্রি করছে, সন্তান বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাচ্ছে। এই লুটেরা গোষ্ঠীর হাত থেকে দেশ উদ্বার করা না গেলে দেশের মানুষ নি:স্ব হয়ে পড়বে।
১২ এপ্রিল বিকেলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির শাহনগরে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি কর্ণেক (অব:) আজিম উল্লাহ চৌধুরী বাহারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহির আজম চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি নেতা সারোয়ার হোসেন,ইদ্রিস মিয়া ইলিয়াস,সারোয়ার উদ্দিন মেম্বার,নুরুদ্দীন আহমেদ,জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,ইলিয়াস মেম্বার, সেলিম মাষ্টার, রায়হানুল আনোয়ার রাহী, জাহেদ মেম্বার, মুহাম্মদ জসিম, এরশাদ উল্লাহ, এম মোর্শেদ হাজারী, ইঞ্জিনিয়ার বেলাল উদ্দিন মুন্না, ইব্রাহীম বিজয়, নাছির শিকদার, মঈনুল্লাহ উজ্জ্বল,ডা. হোসেন প্রমুখ।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন,দেশে বর্তমানে যে দুঃশাসন কায়েম হয়েছে তাতে রাজনীতি করার গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করা হচ্ছে। আজ্ঞাবাহী প্রশাসন যন্ত্রকে অপব্যবহার করে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনের মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছে। করোনা মহামারিসহ রাষ্ট্র পরিচালনায় সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আড়াল করতেই সরকার অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নিয়েছে।আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশকে এক ভয়াবহ অরাজকতার অন্ধকার গহ্বরে ঠেলে দিয়েছে। সমগ্র দেশটাই এখন বন্দিশালায় পরিণত হয়েছে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে বলে দাবি করে সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন,আজকে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। ভোটাধিকার ও বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে।এই সরকার বিদেশিদের কাছে দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। দেশকে ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে।
তিনি বলেন আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। আমরা যে গণতন্ত্রের কথা বলছি, যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কথা বলছি, সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তো আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।তাদের গণতন্ত্র হলো আমার ভোট আমি দেব তোমার ভোটও আমি দেব। ১৯৭৫ সালে সকল দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল তারাই প্রতিষ্ঠা করেছিল।
বাকশালী নীতি থেকে আওয়ামী সরে আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন,দেশে বর্তমানে একদলীয় শাসন চলছে। এক ব্যক্তির ইচ্ছায় সব হচ্ছে।কেউ কথা বলতে পারে না। আজকে যখন পুলিশ কর্মকর্তারা রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেন, যখন জজরা শপথবদ্ধ রাজনীতির কথা বলেন, তখন আমরা সাধারণ মানুষেরা কোথায় যাব, কার কাছে যাব? আজকে বিচার ব্যবস্থা যদি পুরোপুরিভাবে দলীয়করণ হয়ে যায়, মানুষ কোথায় যাবে? তাই এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, শুধু বিচার ব্যবস্থা নয়, আজ যে রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই রাষ্ট্র কাঠামোটা ভেঙে দিতে হবে। ভেঙে দিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
আজিম উল্লাহ চৌধুরী বাহার বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগন আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা বিদেশি শক্তি ও অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় আছে।
Leave a Reply